এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় মুকেশ ও নীতা আম্বানির শোক ও সহায়তার ঘোষণা
এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তা মুকেশ আম্বানি। গভীর দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে এই সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন।

এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা
এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা ভারতের নাগরিক বিমানযান ইতিহাসের একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জন মারা গেছেন। বিমানটি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের উপর পড়ে যাওয়ায় অনেক ছাত্র মারা গেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা ২৯১ জন। এই দুর্ঘটনায় রিলায়েন্স প্রধান মুকেশ আম্বানি শোক প্রকাশ করেছেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন।
শোক প্রকাশ
“বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মানুষদের পরিবারের সঙ্গে আমরা আছি। চলমান ত্রাণ কার্যক্রম ও পরিবারগুলোকে আমাদের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে” বলে ঘোষণা দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। “আমি, নীতা আম্বানি ও রিলায়েন্স পরিবার গভীর শোকাহত। আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য আমরা মর্মাহত। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা”।
শোক প্রকাশ
“এই দুঃখের সময়ে রিলায়েন্স পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। ত্রাণ কার্যক্রমে সব রকম সাহায্য করব। এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। ওঁ শান্তি” বলেছেন মুকেশ আম্বানি।
দুর্ঘটনাস্থল
আমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ১২ জুন আমেদাবাদ মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের উপর পড়ে যায়। উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি একটি বড় বিমান দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। মৃতদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
টাটাদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা
টাটা মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমান দুর্ঘটনা সারা দেশকে ঝাঁকুনি দিয়েছে। মৃতদের পরিবারকে টাটা গ্রুপ ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ ও অন্যান্য ব্যয় বহন করবে বলে জানিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বি.জে. মেডিকেল কলেজ হোস্টেল পুনর্নির্মাণ করবে এবং ছাত্রদের সাহায্য করবে বলে টাটা সন্স চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরন জানিয়েছেন।
নিহতের সংখ্যা
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিম লাইনার (AI 171) বিমানে ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন কর্মী সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে এই রকম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা কোন দিন ঘটেনি। ৪৫ জনের বেশি ছাত্র চিকিৎসাধীন আছেন।