সংক্ষিপ্ত

  • রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধারের টুপিতে নতুন পালক
  • বিশ্বের নবম ধনীতম ব্যক্তি হলেন মুকেশ অম্বানি
  • এশিয়ার একনম্বর ধনীর শিরোপা থাকল তাঁর দখলেই
  • মাত্র ১ মাসেই ঋণমুক্ত করলেন রিলায়েন্সকে

ফের নতুন পালক যোগ হল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটডেরে চেয়ারম্যানের টুপিতে। পৃথিবীর প্রথম ১০ জন ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় এবার উঠে এলেন ভারতের শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি। ব্লুমবার্গের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের নবম ধনীতম ব্যক্তি হলেন মুকেশ অম্বানি। যার মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ৬৪.৫বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্কটা দাঁড়ায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

করোনা মমাহামির কারণে চলতে থাকা লকডাউনের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু এরমধ্যেও মুকেশ অম্বানির টেলিকম সংস্থা জিও আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। যার ফলে বিশ্বের নবম ধনীতম ব্যক্তি হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ার একনম্বর ধনীর শিরোপা ফের গিয়েছে মুকেশ অম্বানির কাছেই।

আরও পড়ুন: লাদাখে হামলার জন্য চিনকেই কাঠগড়ায় তুলছে আমেরিকা, করোনা থেকে নজর ঘোরাতে নতুন চাল বেজিংয়ের

দেশে চলা লকডাউনের কারণে  মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ভারতে ইন্টারনেট বাজারের সিংহভাগেরই দখল রয়েছে জিওর হাতে। তার প্রতিফলন পড়েছে মুকেশের সম্পত্তিতেও। এর মধ্যেই নিজেকে ঋণমুক্ত হিসাবে ঘোষণা করেছেন রিলায়েন্সের কর্ণধার। 

এর আগেই ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে ঋণমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুকেশ আম্বানি। কিন্তু  জিও প্ল্যাটফমর্সের দৌলতে সেই সময়সীমার ৯ মাস আগেই রিলায়েন্স ঋণ শূন্য হতে পেরেছে বলে শুক্রবারই ঘোষণা করেন মুকেশ। অম্বানি জানান, গত দু’মাসের মধ্যে বিভিন্ন বিদেশি লগ্নিকারীরা রিলায়েন্সে বড়সড় বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া  রিলায়েন্সের রাইটস্‌ শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে রেকর্ড ১.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করার ফলেই দ্রুত ঋণমুক্ত করা গেছে সংস্থাটিকে। 

আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই কাশ্মীরে হানা পাক ড্রোনের, গুলি করে নামাল বিএসএফ

ফেসবুক সহ ১০টি বিদেশি সংস্থাকে জিও প্ল্যাটফর্মসের মোট ২৪.৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে রিলায়েন্স মোট ১,১৫,৬৯৩.৯৫ কোটি টাকা তুলেছে। পাশাপাশি, সম্প্রতি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের রাইটস্ শেয়ার বিক্রি করে আরও ৫৩,১২৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। আর রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্টিজের ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মুকেশের হাতে।