সংক্ষিপ্ত

পেশায় বাড়ির পরিচারিকা। মনোজ ছাড় আর কেউ ছিল না বলেও অনুমান পুলিশে। মনোজ সানে বিবাহিত। বিহারে তার স্ত্রী আর দুই সন্তানও রয়েছে।

 

 

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুন নিয়ে যেমন উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ তেমনই একই ঘটনা ঘটছে মুম্বইয়ের সরস্বতী বৈদ্য খুন। যে তার প্রেমিকা বা সহবাসসঙ্গী মনোজ সানের হাতে নৃশংস খুন হয়েছে। আসুন জেনেনি কে এই সরস্বতী বৈদ্য আর তার প্রেমিক মনোজ সানে।

সরস্বতী বৈদ্য

পুলিশ জানিয়েছেন সরস্বতী বৈদ্যের বয়স ৩২। তাঁর কোনও আত্ময়ী বা বন্ধুবান্ধব সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। মনোজ সানে বা সহবাসঙ্গীর ওপর পুরোপুরি নির্ভর ছিলেন এই মহিলা। বেশ কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেই করেই জীবিকা নির্বহ করতেন সরস্বতী। তিনি মনোজ সানের সঙ্গে ২০২০ সাল অর্থাৎ করোনাকাল থেকেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। সরস্বতী সম্পর্কে তার আগের আর কোনও তথ্য এখনও পুলিশের হাতে আসেনি। মোট কথা পুলিশের হাতে যে তথ্য রয়েছে তাতে সরস্বতীর জীবনে মনোজ ছাড়া আর কেউ ছিল না। সম্পূর্ণরূপেই তিনি তাঁর সঙ্গীর ওপর নির্ভর করেছিলেন।

মনোজ সানে বা মূল অভিযুক্ত

৫৬ বছরের মনোজ সানে মূলত বিহারের বাসিন্দা। রুজির টানেই স্বপ্নের শহর মুম্বইতে গিয়েছিল। একটি বেসরকারি সংস্থার গাড়ির চালকের কাজ করত। মাসে ১৫ হাজার টাকা ছিল তার বেতন। মনোজ সানে বিবাহিত। বিহারে তার স্ত্রী আর দুই সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি নিজের বাড়ি বিহার থেকে ঘুরে গিয়েছে সে। নিয়মিত স্ত্রীর হাতে মাসের টাকা পাঠাত মনোজ। তার অতীত অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। চুরি আর হেনস্থার অভিযোগে জেল খেটেছে। জামিনে মুক্ত মনজো।

খুনের কারণঃ

খুনের কারণ নিয়ে এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশ। তবে প্রাথমিক অনুমান সরস্বতীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। তবে মনোজ ও সরস্বতী প্রতিবেশীদের সঙ্গে তেমনভাবে যোগাযোগ রাখতে না। সেই কারণে সরস্বতী সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য প্রতিবেশীদের কাছে নেই। শুধুমাত্র কুশল বিনিময়ের ই সম্পর্ক ছিল মহিলার সঙ্গে। সরস্বতীর পরিবার সম্পর্কেও এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু জানতে পারেনি পুলিশ আর সেই কারণেই খুনের কারণ সম্পর্কে মনোজের বয়ানের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে মনোজও এখনও পর্যন্ত খুনের বিষয় বিয়ে খুব একটা বিষদে জানায়নি। তবে পুলিশের একাংশের অনুমান সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল আর সেই কারণেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড।

মুম্বইয়ের মীরা রোডের ঘটনা রীতিমত হাড়হিম করা। সেখানে এক প্রেমিক তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মনোজ সানে তাঁর সঙ্গী সরস্বতী বৈদ্যকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহের কাটা অংশ প্রেসারকুকারে সেদ্ধ করে। তারপর সেগুলি ধীরে ধীরে রাস্তার কুকুরদের খাইয়েত দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মনোজ সানের পরিকল্পনা পুরোপুরি সফল হয়নি। প্রতিবেশীদের তৎপরতায় মনোজ হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। তার অ্যাপাটমেন্টে থেকেই মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে।

আরও পড়ুনঃ

WhatsApp: হোয়াটঅ্যাপ নতুন বৈশিষ্ট্য, জানুন এটি কতটা নিরাপদ আর কী এর কাজ

৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা অভিষেক পত্নী রুজিরাকে, তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করেন দিল্লির দুই কর্তা

Mumbai murder: প্রতিবেশীদের তৎপরতায় গ্রেফতার 'খুনি প্রেমিক', এই ৬টি কারণে মীরা রোড খুনের পর্দাফাঁস