সংক্ষিপ্ত
মহম্মদ ফজিল নামে ২৩ বছর বয়সী এক মুসলিম যুবককে সন্ধ্যায় কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু জেলায় দুষ্কৃতীদের একটি দল কুপিয়ে হত্যা করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ফজিল ম্যাঙ্গালুরুর কাছে সুরথকলের কাছে মঙ্গলপেটের বাসিন্দা ছিলেন।
কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার এক মুসলিম যুবককে খুন করার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ শহরের সমস্ত মুসলমানদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানায়। সেইসঙ্গে বাড়িতেই শুক্রবারের নমাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করে।
মহম্মদ ফজিল নামে ২৩ বছর বয়সী এক মুসলিম যুবককে সন্ধ্যায় কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু জেলায় দুষ্কৃতীদের একটি দল কুপিয়ে হত্যা করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ফজিল ম্যাঙ্গালুরুর কাছে সুরথকলের কাছে মঙ্গলপেটের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহরে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেয়। দ্রুত মুসলিম সম্প্রদায়কে বাড়িতে শুক্রবারের নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয়। কোনও মসজিদে এদিন শুক্রবারের নমাজের জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার এন শশী কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “প্রতিটি এলাকার আইন-শৃঙ্খলার বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সমস্ত মুসলিম নেতাদের তাদের বাড়িতে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছি।”
শনিবার পর্যন্ত সুরথকলের আশেপাশের এলাকায় চারটি থানার সীমানার মধ্যে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন "ম্যাঙ্গালুরু সিটি কমিশনারেটের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিস্থিতির সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে, আমরা ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করেছি,"।
তিনি বলেন, সুরথকাল, মুলকি, বাজপে এবং পানম্বুরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার মদের দোকানগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ একটি জমায়েতে পাঁচজনের বেশি লোকের অনুমতি দিচ্ছে না। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে, পুলিশ কমিশনার বলেন, "আমরা একজন প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছি, যিনি ঘটনার সময় নিহতের সাথে ছিল এবং সুরথকল থানায় একটি খুনের কেস দায়ের করা হয়েছে।"
পুলিশ কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন যে যথাযথ বিচার দ্রুত এবং ন্যায্যভাবে করা হবে। পুলিশ কমিশনার একটি বিষয় অস্বীকার করেছেন যে এখানে কোনও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের ইস্যু রয়েছে। তিনি বলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে যে এটিতে একটি প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরই সঙ্গে এটিকে একটি সাম্প্রদায়িক কোণ দেওয়া হয়েছে। কিছু বলা আগে থেকে উচিত নয়, তবে এরকম কোনও বিষয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমরা এখনও অভিযুক্তকে ধরতে পারিনি। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ না করা পর্যন্ত আমরা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মন্তব্য করব না।"
পুলিশ জানায়, ৪-৫ জনের একটি দল একটি গাড়িতে এসে তার মালিকানাধীন একটি কাপড়ের দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ফজিলের দিকে ছুটে যায়। দুষ্কৃতীরা ধাওয়া করে তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু তিনি মারা যান। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসায় রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।