সংক্ষিপ্ত
গত বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছে
তারপরই প্রস্তাবিত মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরির হুমকি এল
এমন কথা বললেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি
তাঁর দাবি বিতর্কিত জমিতে আগে কখনও মন্দির ভাঙা হয়নি
'অযোধ্যায় মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়নি কিন্তু এবার হবে'। গত বুধবার ৫ অগাস্ট মহা ধূমধামে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়ে গিয়েছে। ঠিক তার পরেই সেই মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরির হুমকি দিলেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি সাজিদ রশিদি।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সাফ জানান, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী একটি মসজিদের জায়গায় সর্বদাই মসজিদই হবে। অন্য কিছু তৈরি করার জন্য মসজিদ ভাঙা যায় না। তিনি জানান, তাঁদের বিশ্বাস অনুযায়ী অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে সবসময় মসজিদই ছিল। কোনও মন্দির ভেঙে সেই মসজিদ নির্মিত হয়নি। তবে এখন বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হওয়ার পর তা হবে। অর্থাৎ, সরাসরি রামমন্দির ভেঙে ফের বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি দিলেন সাজিদ রাশিদি।
শুধু তাই নয় অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশন-এর এই মৌলানা রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগ দেওয়া নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন। এআইমিম প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি-র সুরেই তিনি বলেছেন, অযোধ্যার রামমন্দিরের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মোদী সংবিধানের শপথ লঙ্ঘন করেছেন।
সাজিদ রাশিদি এই ধরণের উসকানিমূলক বিবৃতি দিলেও, ভারতীয় মুসলমানদের একটা বড় অংশ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির মালিকানা রামলালা বিরাজমান-কে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে অযোধ্যারই একটি বিকল্প জায়গায় নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিম পক্ষকে ৫ একর জমি বরাদ্দ করার নির্দেশ দিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্য়েই অযোধ্যার ধন্নি গ্রামে ৫৪ একর জমি দেখিয়েছে। সেই জমিটি উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড গ্রহণ করেছে এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট-ও গঠন করা হয়েছে।