সংক্ষিপ্ত

রাজস্থানের যোধপুর জেলার গ্রামীণ এলাকায় মা দুর্গার এই মন্দিরটি অবস্থিত। এটি ভোপালগড়ের বাগোরিয়া গ্রামে একটি উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত। আসলে বাগোরিয়ার উঁচু পাহাড়ে মা দুর্গা মন্দিরে পৌঁছতে আপনাকে ৫০০টি ধাপে উঠতে হবে।

ভারতে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যেখানে তাদের রীতিনীতি জানলে অবাক হতে পারেন। আজ আমরা এমন একটি মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু ঘটনা বলতে যাচ্ছি, যা জানলে মানুষ অবাক হতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, এই মন্দিরটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি ভাল উদাহরণ হয়ে আছে। এই মন্দিরে মা দুর্গার পূজা করেন মুসলিম পুরোহিতরা। এই মন্দিরে ধর্মের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, এখানে সবাই মায়ের পূজা করতে যায়।

মন্দিরগুলো কোথায় অবস্থিত

রাজস্থানের যোধপুর জেলার গ্রামীণ এলাকায় মা দুর্গার এই মন্দিরটি অবস্থিত। এটি ভোপালগড়ের বাগোরিয়া গ্রামে একটি উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত। আসলে বাগোরিয়ার উঁচু পাহাড়ে মা দুর্গা মন্দিরে পৌঁছতে আপনাকে ৫০০টি ধাপে উঠতে হবে। গ্রাম ছাড়াও অন্যান্য জায়গা থেকেও মানুষ আসেন মন্দিরে। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত এই দুর্গা মন্দিরে দেবীর দর্শন নিতে আসেন। জালালুদ্দিন খানের মতে, তার পূর্বপুরুষরা শত শত বছর আগে সিন্ধু থেকে এখানে এসেছিলেন, যা এখন পাকিস্তানে রয়েছে। তারা এই গ্রামে বসতি স্থাপন করেছে। এখন প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেবীর সেবা করে আসছেন।

মুসলিম পরিবার প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মা দুর্গার সেবা করে আসছে

মা দুর্গার এই মন্দিরের পুরোহিত হলেন জালালউদ্দিন খান। মুসলিম পরিবারের সদস্যরা বংশ পরম্পরায় এই মন্দিরে সেবা করে আসছেন। মন্দিরের পুরোহিত জালালউদ্দিন খানের মতে, শত বছর আগে তার পূর্বপুরুষরা পাকিস্তান থেকে এখানে এসেছিলেন। এরপর তিনি এখানে বসতি স্থাপন করেন এবং তারপর থেকে তার সমস্ত প্রজন্ম মা দুর্গার আরাধনায় মগ্ন। প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এই প্রথা।

জেনে নিন মন্দিরের পুরো কাহিনী কি

সিন্ধু থেকে একদল মুসলিম ব্যবসায়ী ব্যবসার জন্য এখানে এলে তাদের একজনকে এখানে রেখে দেওয়া হয়। তিনি ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মরতে বসেছিলেন কিন্তু এই মন্দিরের জায়গায় তাঁর জীবন রক্ষা হয়েছিল। মা দুর্গার এই অলৌকিক ঘটনা দেখে আর ফিরে যাননি বণিক। তিনি এখানে বসতি স্থাপন করেন এবং মা দুর্গার পূজা শুরু করেন।

জালালুদ্দিনের মতে, এই মন্দিরে লুকিয়ে থেকে তার পূর্বপুরুষদের জীবন রক্ষা হয়েছিল। মা দুর্গার অলৌকিকতা দেখে তাঁরা আর ফিরে যাননি এখানেই বসতি স্থাপন করেন। সেই থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা মা দুর্গার পূজা করে আসছেন। জালাজুদ্দিন শুধু মন্দির দেখাশোনা করেন না, মন্দিরের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানও করেন। জালালউদ্দিন তার পরিবারের ১৩ তম প্রজন্ম যিনি এই কাজটি করে চলেছেন।