সংক্ষিপ্ত

রাজস্থান বিধানসভার দিন ক্রমশই এগিয়ে আসছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন অশোক গেহলট। সেই অবস্থাতেই তাঁর গলার কাঁটা হিসেবে ফুটে রয়েছেন শচীন পাইলট।

 

ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বিদ্রোহী হচ্ছে রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলন। এদিন রাজস্থানে বিধায়কদের মুখোমুখী বৈঠক এড়িয়ে গেছেন তিনি। তারপরেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন বসুন্ধরা রাজের সরকারের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তার তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে অশোক গেহলট সরকারকে। তিনি তাঁর অবস্থান থেকে সরবেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শচীন। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তদন্তের দাবি নিয়ে নিজের সরকারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি অনশন আন্দোলন করেছিলেন। তিনি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে গেহলট শিবির তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের সুর ক্রমশই চড়াচ্ছে।

রাজস্থান বিধানসভার দিন ক্রমশই এগিয়ে আসছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন অশোক গেহলট। সেই অবস্থাতেই তাঁর গলার কাঁটা হিসেবে ফুটে রয়েছেন শচীন পাইলট। তিনি দুর্নীতির অভিযোগে নিস্ক্রীয় থাকা নিয়ে অশোক গেহলট সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মানছেন না রাজস্থান সরকার। তিনি বলেছেন এক সপ্তাহ হয়ে গেছে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। তিনি আরও জানিয়েছেন দুর্নীতির ইস্যুতে তিনি পিছু হাঁটবেন না। নির্বাচনের আর মাত্র সাত মাস বাাকি রয়েছে। এই অবস্থায় গেহলট সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন শচীন পাইলট। তবে ঝুনঝুন ও জয়পুরে নির্ধারিত দলীয় কর্মসূচি ছিল বলেও তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির ইনচার্জ সুখজিন্দর সিং রনধাওয়া, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসরার বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।

রাজস্থানের এক কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন, শচীন পাইলটের প্রভাব ক্রমশই রাজস্থান রাজনীতি বাড়ছে। তা কখনই অস্বীকার করতে পারবে না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি আরও বলেন, আজমীরে শচীন পাইলটের প্রবল জনসমর্থন রয়েছে। তা ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে রাজস্থানের রাজনীতিতে। যা গেহলট শিবিরের কাছে বিশেষ উদ্বেগের বলেও জানিয়েছেন তিনি।

২০১৮ সালে ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে রাজস্থানে সরকার গঠন করেছিলেন অশোক গেহলট। যদিও সেই সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে গেহলট আর পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল- যা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। আগেও বিদ্রোহী হয়েছিলেন শচীন পাইলট। তিনি দলের বিধায়ক নিয়ে দল ছাড়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন । যা নিয়ে আইন আদালত পর্যন্ত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হস্তক্ষেপে। কিন্তু এখনও গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্যই রাজস্থানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেনি।