সংক্ষিপ্ত

নাড্ডার ওপরই ভরসা রাখছে বিজেপি। দলীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে অমিত শাহ জানালেন নাড্ডাই সভাপতি থাকছেন ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ওপরই আস্থা গেরুয়া শিবিরের। আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ বাড়িয়ে দিল। মঙ্গলবার দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় এমনটাই জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় আরও বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে ২০২৪ সালে।

বিজেপি নেতা অমিত শাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং তথা দলের প্রাক্তন সভাপতি জেপি নাড্ডার মেয়াদ আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। সেই প্রস্তাবেই দলের কার্যনির্বহী সমিতি সর্বসম্মত ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। দলের উন্নয়ন আর ধারাবাহিক সমৃদ্ধিকেই অগ্রাধিকার দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ। আগামী বছর মে-জুন মাসে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই কারণে দলের সভাপতি হিসেবে নাড্ডাকেই রেখে দেওয়া হল জুন মাস পর্যন্ত। যার অর্থ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি দলীয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।

লোকসভা নির্বাচনের সময় নাড্ডা দলের নেতৃত্ব দেবেন, একই সঙ্গে তিনি তাঁর পূর্বসূরি অমিত শাহের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন। অমিত শাহের মেয়াদও ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় বাড়ান হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ওপর দলের সর্বস্তরের সদস্যদের আস্থা রয়েছে বলে এদিন অমিত শাহ জানিয়েছেন। তিনি বলেন গত লোকসভা নির্বাচনের থেকে আরও বড় জয় পাবে আগামী নির্বাচনে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাড্ডার প্রশংসা করে বলেন, কোভিড ১৯র প্রাদুর্ভাবের সময় জনগণের সেবার কাজে বিজেপিকে সরাসরি যুক্ত করেছিলেন নাড্ডা। সংগঠক হিসেবে নাড্ডার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। শাহ বলেন, নাড্ডার অধীনে বিজেপি একাধিক রাজ্যের নির্বাচনে জিতেছে। আর সেই অভিজ্ঞতাই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি।

নাড্ডার সঙ্গে আরএসএস-এর ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ৬২ বছরের নাড্ডা একজন মৃদুভাষী ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি প্রথম বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি একাধিক রাজ্যে শাসনভার দখলে রাখতে পারলেও হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারেনি বিজেপি। তারপর থেকেই দলের অন্দরে নাড্ডার নেতৃত্ব নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। কিন্তু এইদিন অমিত শাহের ঘোষণার পর স্থির হয় নাড্ডাতেই আস্থা রয়েছে বিজেপির। যাইহোক নাড্ডা রাজ্য সভার সাংসদ। তিনি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের রণকৌশলন বাস্তবায়নে উপযুক্ত ব্যক্তি- বলেও দাবি দলের প্রথম সারির নেতাদের।