সংক্ষিপ্ত

  • কেন্দ্রের সঙ্গে চলছে নাগা শান্তি আলোচনা
  • তারমধ্যেই নতুন করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এনএসসিএন (ই-এম)
  • ভারতের বিরুদ্ঝধে তাদের যুদ্ধে চিনের সাহায্য চাইছে
  • ইউনান প্রদেশে ঘাঁটি গেড়েছেন এনএসসিএন (ই-এম)'এর তিন নেতা

নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠগুলির সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্র। শোনা যাচ্ছে সেই আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। কিন্তু তারমধ্যেই ন্য়াশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগালিম (ইসাক-মুইভা) নামে একটি গোষ্ঠীর প্রাক্তন প্রধান ফুংতিং সিমরাং বর্তমানে চিনে ঘাঁটি গেড়ে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ে চিনা সাহায্য চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।     

ন্য়াশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগালিম (খাপলাং) গোষ্ঠীর এক নেতাই এই তথ্য ফাঁস করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফুংতিং সিমরাং তাঁর দুই বিশ্বস্ত কমরেড-তে নিয়ে আপাতত চিনের ইউনান প্রদেশে রয়েছেন। আরও জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসের শেষ দিকে এই তিন নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পূর্ব নাগাল্যান্ড দিয়ে তচিনে প্রবেশ করেছেন।    
শুধু তাই নয়, ইসাক-মুইভা গোষ্ঠীর আরেক নেতা অন্টনি শিমরে-ও বর্তমানে হেব্রন-এ দলের সদর দপ্তর ছেড়ে ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী কোনও অজ্ঞা জায়গায় আছেন। অক্চটোহবর মাস থেকে তাঁর সঙ্গে তাদের গোষ্ঠাীর ৩০০০ ক্যাডারও রয়েছে। খাপলাং গোষ্ঠীর এক পদস্থ কমান্ডার জানিয়েছেন ইসাক-মুইভা গোষ্ঠীর কৌশলের উপর তাঁরা কড়া নজর রাখছেন।

এর আগেই ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইসাক-মুইভা গোষ্ঠীর দাবি মতো নাগাল্যান্ডের জন্য পৃথক সংবিধান ও পতাকা-র অধিকার দেওয়া হবে না। অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আলফা'র প্রধান পরেশ বরুয়া-র মতে ইসাক-মুইভা গোষ্ঠী বুঝে গিয়েছে, নাগা জনগোষ্ঠীর হাতে এর বেশি ক্ষমতা দেবে না ভারত সরকার। তাই তারা ফের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিমরে ও তার ক্যাডাররা হেব্রনে আর ফিরবেন না বলেই মনে করেন পরেশ বরুয়া।

প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, ভারতের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের পথে যাবে না চিন। কিন্তু, ইসাক-মুইভা গোষ্ঠীর মতো উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি তাদের সুবিধা করে দিচ্ছে। নাগাল্যান্ডে ইসাক-মুইভা, অসমে আলফা কিংবা মণিপুরে সেখানকার বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বে একটা ছায়াযুদ্ধ চালানোই চিনের বিভিন্ন সামরিক সংস্থাগুলির কৌশল। তবে এখন উত্তর-পূর্বের নতুন প্রজন্ম যুদ্ধের পরিবেস নয়, এলাকার উন্নয়নই বেশি করে চায়। আর সেই দিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির সরকার। তাই চিনের কাজটা খুব সহজ হবে না।