সংক্ষিপ্ত
প্রভাবশালী নাগা স্টুডেন্ট ফেডারেশন (NSF) এদিন রাজধানী কোহিমায় একটি বিশাল সমাবেশ করে। কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন।
নাগাল্যান্ড হত্যাকাণ্ডকে (Nagaland Killing) কেন্দ্র করে আবারও উত্তাল হল পাহাড়ী রাজ্যের রাজধানী কোহিমা (Kohima)। আরাও এবরা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন অর্থাৎ AFSPAর বিরুদ্ধে সরব হলেন স্থানীয় বাসিন্দা। শুক্রবার নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমায় প্রচুর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আফস্পার বিরুদ্ধে সরব হলেন। চলতি মাসের প্রথম দিকেই নাগাল্যান্ডের মোন জেলার ওটিং গ্রামে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে অসম রাইফেলসের গুলিতে ঝাঁরা হয়ে নিহত হয় ১৪ জন স্থানীয় নিরস্ত্র গ্রামবাসী।
প্রভাবশালী নাগা স্টুডেন্ট ফেডারেশন (NSF) এদিন রাজধানী কোহিমায় একটি বিশাল সমাবেশ করে। কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন। নিহতদের ন্যায়বিচারের দাবিতেও সরব হন। পাশাপাশি আফস্পা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তাঁরা।
এদিন প্রতিবাদকারীরা ভারতীয় সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতার আইনের প্রতিবাদে ব্যানার পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অধিকাংশ ব্যানারেই আফস্পার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল এই আইন প্রত্যাহারের আগে আর কতজনকে হত্যা করা হবে। পাশাপাশি এই বিশেষ আইন ভারতীয় সেনা বাহিনীকে দায়িত্বহীনতার সঙ্গে কাজ করতে উদ্দীপিত করে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির দীর্ঘ দিনের দাবি আফস্পা প্রত্যাহার করা।
গত তিন ধরেই কোহিমায় আফস্পার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। তাই এদিনের সমাবেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই সমাবেশ স্পষ্ট করছে সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপরণের পরিবর্তে নিহতগ্রামবাসীদের ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছিল। এদিনও সেই দাবি আরও একবার ওঠে।
কোনিয়াক ইউনিয়ন এই আন্দোলন অসহোযোগ আন্দোলন হিসেবে এই আন্দোলন শুরু করেছিল। সেনা বাহিনীর সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা করা হবে না বলেও জানান হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এই আন্দোলন ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয় নাগা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সদস্যরাও। নাগা পিপিলস অর্গানাইজেশনও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে। ক্রমেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে।
নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মোন জেলার ওটিং গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন সাধারণ নাগরিকের। এই ঘটনায় এক সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। তবে নৃশংস ঘটনা আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল ১৯৫৮ সালের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনকে (AFSPA) বা আফসপা-কে। উত্তর পূর্ব ভারত (Northeast India) থেকে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলছে স্থানীয় বুদ্ধিজীবিরা। নাগাল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী হর্নবিল অনুষ্ঠানও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও।