সোমবার বকরি ঈদ  ঈদ উপলক্ষ্যে গোটা উপত্যকায় বসেছে কড়া পুলিশি পাহাড়া কোনও বড় মসজিদে বড় জমায়েত নয় কড়া বার্তা দিল রাজ্য প্রশাসন

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি বেশ খানিকটা থমথমে। সোমবার বকরি ঈদ উপলক্ষ্যে গোটা উপত্যকায় বসেছে কড়া পুলিশি পাহাড়া। যেকোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে এড়ানো যায় সেকারণেই এই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে বলে খবর। 

প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ঈদের নমাজের পর উপত্যকার বেশকিছু এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তাই ঈদের দিন সকলকে একসঙ্গে নমাজ পাঠে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেকারণে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা প্রশাসনের কাছে কার্যত একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে সকলে।

Scroll to load tweet…

আর তাই নিরাপত্তা সুনশ্চিত করতেই উপত্যকার বড় বড় মজসিদগুলিতে কোনও বড় জমায়েতের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তার পরিবর্তে স্থানীয় মসজিদগুলিতেই সকলকে নমাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর প্রথম শুক্রবারে কাশ্মীরে নমাজ পড়েছিলেন এক বিরাট সংখ্যক মানুষ। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে পরিস্থিতি শান্ত বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরই রবিবার ফেক কার্ফু জারি করা হয় উপত্যকায়। প্রসঙ্গত উপত্যকায় এখনও বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। যদিও তিন-চারটি শহর ছাড়া দশ জেলা থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে ১৪৪ ধারা। 

প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, ঈদ উপলক্ষ্যে যে কোনও বড় জমায়েতেই সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করতে পারে। তাই উৎসবের দিনে অশান্তি এড়াতেই বড় কোনও জমায়েতের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। যে সমস্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর ঘটনা আগে ঘটেছে সেই সমস্ত এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।