সংক্ষিপ্ত

  • শনিবার আস্থাভোটে দারুণ জয় পেয়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি
  • রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করল বিজেপি
  • ফলে নানা পাটোলেই পরবর্তী স্পিকার হচ্ছেন
  • প্রাক্তন বিজেপি নেতার মাধ্যমেই সরকারের শীর্ষে ভারসাম্য রক্ষা

ভবিষ্যতে কী হবে জানা নেই, কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের 'তিন চাকার সরকার' বেশ গড়গড়িয়েই এগোচ্ছে। শনিবার আস্থাভোটে দারুণ জয়ের পর রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার পদটিতেও বিনা বাধায় জয়ের পথ পরিষ্কার হয়ে গেল। রবিবার স্পিকার পদে নিজেদের প্রার্থী কিসান কাঠোরে-র নাম প্রত্যাহার করে নিল। ফলে মহারাষ্ট্রের পরের স্পিকার হতে চলেছেন, গেরুয়া শিবির থেকেই কংগ্রেসে আসা নানা পাটেলে।

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ফর্মুলা তৈরির সময়ই ঠিক হয়েছিল, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাড়তি একজন উপমুখ্যমন্ত্রী না করে তাদের বিধানসভার স্পিকারের পদটি দেওয়া হবে। শনিবার স্পিকার পদের প্রার্থী হিসেবে নানা পাটোলের নাম মনোনীত করেছিল কংগ্রেস। নানা পাটোলে-কে স্পিকারের পদে বসিয়ে সরকারে একই সঙ্গে জাতপাত ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখল 'রিক্সা সরকার', এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের শীর্ষপদে পশ্চিম মহারাষ্ট্র ও মরাঠি নেতাদের সংখ্যাই বেশি। এর আগে বিদর্ভ ও পূর্ব মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি উঠেছিল। তার উপর এর আগের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বিদর্ভের মানুষ। ফলে এই বিষয় নিয়ে বিজেপি নয়া মহারাষ্ট্র সরকারকে বিব্রত করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন মহা বিকাশ আগাড়ির নেতারা।

সেই কারণেই স্পিকার পদে নানা পাটোলে-র থেকে যোগ্য বাছাই আর কেউ হতে পারত না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একদিকে দেবেন্দ্রর মতো নানা পাটোলে-ও বিদর্ভ জেলারই মানুষ। তার উপর তিনি কুনাভি সম্প্রদায়ের মানুষ ও কৃষক নেতা। ফলে তাঁকে স্পিকার পদে বসানোর ফলে সরকারের মাথায় আঞ্চলিক ভারসাম্য ও মারাঠি-অমারাঠি সম্প্রদায়ের ভারসাম্য বজায় থাকল।