সংক্ষিপ্ত
- নারদ মামলা থেকে সরে গেলেন বাঙালি বিচারপতি
- শুনানি শুরু হওয়ার আগেই মামলা থেকে সরলেন
- মামলা শুনানি কোন বেঞ্চে হবে তা ঠিক করবেন প্রধানবিচারপতি
- তিনটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর আরও এক বাঙালি বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু নিজেকে সরিয়ে নিলেন মামলা থেকে। নারদ মামলার শুনানি থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা আর অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল নারদ মামলার। দিনের শুরুতে মামলা শুরু হওয়ার আগেই শুনানি থেকে নিজেকে বিরত রাখলেন অনিরুদ্ধ বসু।
নারদ মামলার কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। নারদ মামলায় রাজ্যের পক্ষে দায়ের হওয়ার হলফনামা গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলম মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী। মামলাটি গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারই ছিল শুনানির প্রথম দিন। কিন্তু তার আগেই নিজেকে মামলা থেকে সরিয়ে নেয় বাঙালি বিচারপতি। বেঞ্চের অপর বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা জানিয়েছেন বিষয়টি এখন প্রধানবিচারপতির এক্তিয়ারে। এই মামলার শুনানি কোন বেঞ্চে হবে তা নির্ধারণ করবেন তিনি।
নতুন টিকানীতির প্রথম দিনেই সাফল্য, ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে কোভিড টিকা একদিনে ... Read
গত ১৭ মে রাজ্য়ের চার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে নারদ মামলার গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই দিনই রাজ্যের পক্ষ থেকে একটি হলফনামা দায়ের করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। কিন্তু হাইকোর্ট তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করার অভিযোগসহ আরও তিনচি মামলার শুনানির কথা ছিল হেমন্ত গুপ্তা আর অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে। অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের পরই সিবিআইকে আইনি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
৩ ঘণ্টা ধরে পাওয়ার-পিকে দ্বিতীয় বৈঠক, কাল দিল্লিতে বিরোধী দলের আলোচনা ..
অন্যদিকে গত সপ্তাহেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়ার একটি মামলার শুনানির আগে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বাঙালি বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন তিনি বলেছেন, এই মামলা শোনার ক্ষেত্রে তাঁর কিছু সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আর সেই কারণেই মামলায় বিচার প্রক্রিয়ায় তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন।