সংক্ষিপ্ত
- মোদী ও জিনপিং-এর বৈঠক নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই
- বিশেষ করে চিনা সংবাদমাধ্যম বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে
- ২ দিনের বৈঠকে এদিন ছিল অন্তিম দিন
- চেন্নাই মিট-এর শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধানকেই পাওয়া গেল বাড়তি আবেগে
চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিশ্চিতভাবেই তুলে আনছেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ। এমন জল্পনায় এক প্রকার জল ঢাললেন শি জিনপিং। শনিবার মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গের পাশটাও মাড়ালেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। শনিবার সকালেই জিনপিংয়ের সঙ্গে কোভালামের কোভ হোটেলে ৫০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন মোদী। বৈঠকটিতে কোনও কূটনীতিকের প্রবেশের অধিকার ছিল না। দুই রাষ্ট্রপ্রধান কী নিয়ে কথা বলেছেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সূত্রের খবর, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের।
এরপরেই ট্যাঙ্গো হলে মোদীর সঙ্গে জিনপিং-এর কূটনৈতিক বৈঠক হয়। এই কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগ প্লাবিত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'আমাদের এই ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা হল। এর সাক্ষী থাকল আজকের চেন্নাই। আমরা জানি, আমাদের দুই দেশের মধ্যে অনেক বিভেদ, বিতর্ক ও বৈপরিত্য রয়েছে। আমরা এগুলোকে পাশে সরিয়ে রেখে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দুই দেশ একে অপরের পাশে এসে দাঁড়াবে। ' অন্য দিকে, দক্ষিণ ভারতীয় আতিথেয়তায় অভিভূত হয়ে জিনপিং বলেন, 'ভারতের অভ্যর্থনায় আমরা আপ্লুত। এই সফর আমাদের সারাজীবন মনে থাকে। এই সুন্দর স্মৃতির প্রভাব ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর পড়বে।' বৈঠক শেষে বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে বলেছেন, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে মূলত বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকে মোদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে, চিনের ভারতীয় দূত বিক্রম মিসরি-সহ প্রমুখরা। অন্য দিকে, চিনা বিদেশমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর কয়েক জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।