সংক্ষিপ্ত

দিনের শেষে একটা ভয় থেকে যাচ্ছে। যেভাবে পারফর্ম করেছে ইন্ডিয়া জোট, তাতে সমীকরণ বদলে গেলে আদৌ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন তো নরেন্দ্র মোদী! এটাও মনে করা হচ্ছে যে রাজনীতির প্যাঁচে হয়ত সরকার গঠন করতে পারবে না বিজেপি। তাহলে কী হতে চলেছে

ভোট যুদ্ধ অবশেষে শেষ। এবার সরকার গড়ার পালা। ফলপ্রকাশের পর থেকেই NDA এবং ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গিয়েছিল। ট্রেন্ড থেকে এখন ফলপ্রকাশ হয়েছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে গেলে বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ পার্টির ওপর। 

কিন্তু এই দুই নেতাই একাধিক বার ‘এনডিএ’ জোট ত্যাগ করেছেন, আবার সেই জোটে ফিরেও গেছেন। অন্যদিকে, এই লোকসভা নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলেই গণনায় ইঙ্গিত মিলছে। সেইসঙ্গে, বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় দরকার ৫৫টি আসন।

তবে দিনের শেষে একটা ভয় থেকে যাচ্ছে। যেভাবে পারফর্ম করেছে ইন্ডিয়া জোট, তাতে সমীকরণ বদলে গেলে আদৌ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন তো নরেন্দ্র মোদী! এটাও মনে করা হচ্ছে যে রাজনীতির প্যাঁচে হয়ত সরকার গঠন করতে পারবে না বিজেপি। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি। প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, এখনও পর্যন্ত চলা ট্রেন্ড অনুযায়ী বিরোধী ইন্ডিয়া জোট যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে রয়েছে।

জানা গিয়েছে যে, নীতীশ কুমারকে ডেপুটি PM অর্থাৎ উপ-প্রধানমন্ত্রী করতে চায় ইন্ডিয়া জোট। এমনকি, তাঁকে শরদ পাওয়ারের তরফে ফোন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই এই মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে যোগ দিয়েছিলেন NDA-তে।

যদিও, এবার নতুন করে এই ফোনের বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। পাশাপাশি, এটাও জানা গিয়েছে যে, শরদ পাওয়ার ফোন করেছেন TDP অর্থাৎ তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে। এছাড়াও, নবীন পট্টনায়ককে ফোন করা হয় বলে খবর মিলেছে। যদিও, শরদ পাওয়ার এই ফোনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

অনেকেই মনে করছেন নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে নিজেদের দিকে টানতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট। এমতাবস্থায়, নীতিশের জনতা দলের ১২ টি আসন এবং TDP-র ১৬ টি আসনের সুবিধা পাবে তারা। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে পারবে না NDA। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কংগ্রেস চাইছে বিভিন্ন দলকে সাথে নিয়ে ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগার পার করতে। আর যদি সেটা হয়ে যায়, তাহলে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যেতে পারে নরেন্দ্র মোদীর কাছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।