সংক্ষিপ্ত
- তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর।
- লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীরা তাঁর সরকারের স্বপক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণে বিরোধিতা করেছিলেন।
- নরেন্দ্র মোদী বিদায়ী ভাষণে জাতীয় জরুরি অবস্থাকে হাতিয়ার করে বিরোধিতদের পাল্টা দিলেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীরা তাঁর সরকারের স্বপক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণে বিরোধিতা করেছিলেন। সকলেরই অভিযোগ বিরোধিদের অতীতের কাজের মর্যাদা দিতে চাইছে না সরকার। এদিন নরেন্দ্র মোদী বিদায়ী ভাষণে জাতীয় জরুরি অবস্থাকে হাতিয়ার করে বিরোধিতদের পাল্টা দিলেন।
১৯৭১ সালের রায়বেরেলি লোকসভা কেন্দ্রে সোসালিস্ট পার্টির নেতা রাজ নারায়ণকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। রাজ নারায়ণ ১৯৫১ সালের 'রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপল অ্যাক্ট' অনুযায়ী ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাস্টিস সিনহা ইন্দিরার ৬ বছরের জন্য যে কোনও ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করেন। এর পরেই জাতীয় জরুরি অবস্থার ডাক দেন ইন্দিরা।
আরও পড়ুনঃ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন এত মাখামাখি, কারণ অবশেষে স্পষ্ট করলেন মোদী
সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে ইন্দিরা এদিন বলেন, আজ ২৫ জুন। অনেকে জানে না ২৫ জুন কোন দিন। ২৫ জুনের ওই রাত দেশের আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। ভারতে লোকতন্ত্র আমাদের আত্মা ছিল। ২৫ জুন তাকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। মিডিয়ার মুখ বন্ধ করা হয়। হিন্দুস্থান জেলখানা হয়ে গিয়েছিল। আজ আবার ২৫ জুন। এই দিনেই আমি লোকতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে চাই। ওই দাগ মিটবে না। বারবার স্মরণ করতে হবে ওই রাতকে লোকতন্ত্রের ক্ষতটা বোঝানোর জন্যে।'
জরুরি অবস্থার কালো দিনকে ভর্ৎসনার পাশাপাশি মোদীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে স্বাধীনতা আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্তির প্রসঙ্গও। সেই উদযাপনের শরিক হতে সকলকে আহ্বান জানান নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, ভোটের মাঠে আমি তুমি যাই হোক, 'স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে আমি সমস্ত জনপ্রতিনিধিকে অনুরোধ করি, এই শুভ মহরৎকে আমরা যেন বিরোধিতাহীন ভাবে উদযাপন করতে পারি। '