সংক্ষিপ্ত
ওড়িশার আঙুলে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, 'বিজেডি শাসনে পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিরাপদ নয়। রত্নভাণ্ডারের চাবি গত ৬ বছর ধরে হারিয়ে গেছে। '
ভোট প্রচারে পুরীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকে। তিনি এদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যান। সেখানে পুজো দেন। রোডশো করেন। তারপরই পুরীর মন্দিরে হারিয়ে যাওয়া চাবি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে। তিনি বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্ব ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক পালন করতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, ১২ শতকে তৈরি মন্দির বিজু জনতা দলের শাসনে নিরাপদ নয়।
ওড়িশার আঙুলে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, 'বিজেডি শাসনে পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিরাপদ নয়। রত্নভাণ্ডারের চাবি গত ৬ বছর ধরে হারিয়ে গেছে। ' আগামী ২৫ মে পুরী ও ওড়িশার রাজধীনে ভূবনেশ্বরে ভোট গ্রহণ হবে।
ভগবান জগন্নাথ ওড়িশার সবথেকে বেশি পূজনীয় দেবতা। জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার নিয়ে ওড়িশার মানুষের মনের মধ্যে রয়েছে গভীর আবেগ। পুরীর জগন্নাথ দেশের ধনী দেবতাদের মধ্যে একজন। জগন্নাথদেবের সম্পত্তির পরিমাণও অগাধ। রত্নভাণ্ডারে দেবতার মূল্যবান অলঙ্কার রয়েছে। ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র ও দেবী সুভদ্রা- শতকের পর শতক ধরে রাজপরিবার যে সম্পত্তি দিয়েছিল তা সেখানে রাখা হয়েছে। শেষবার ১৯৮৫ সালের ১৪ জুলাই এটি খোলা হয়েছিল।
২০১৮ সালে ওড়িশা সরকার হাইকোর্টের নির্দেশ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। সেবার রত্নভাণ্ডারের তিনটি চাবির একচি হারিয়ে গেছে বলে জানা যায়। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে সে বছর রথযাত্রার সময়ে ভাণ্ডারের কিছু সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। কিন্তু তৃতীয় চাবির খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই কারণে রত্নভাণ্ডারের একটি ভিতরের প্রকোষ্ঠো খোলা যায়নি। কারণ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জিম্মাদার ভাণ্ডার মেকাপের কাছে রাখা তিন জোড়়া চাবির একটি হলে তবেই খোলা যাবে রত্নভাণ্ডারের ভিতরের লকারটি।
সূত্রের খবর, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান দেবতা জগন্নাথের মাথার ব্রহ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের মাথার নীলা বা সুভদ্রার মাথার মণি রত্নভাণ্ডারের বাইরের একটি লকারে রাখা হয়েছিল। তবে ভিতরের লকারে কী আছে তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। শেষবার রত্নভাণ্ডারের অডিট হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তবে ১৯৮৪ সালে জগন্নাথেপর স্বর্ণচিতার মেরামতির দরকারের কিছু সোনার খোঁজ করার জন্য এই লকার খোলা হয়েছিল। তারপর আর কোনও দিনও সেই লকার খোলা হয়নি।