শিখদের নবম গুরু তেগ বাহাদুর সিংয়ের ৪০০তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান চলছে নয়া দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এক গুরুদুয়ারে যান প্রধানমন্ত্রী কোনওরকম বিশেষ নিরাপত্তা ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী সেখানে যান করোনা বিধি মেনেই চলছে এই জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান

শিখদের নবম গুরু তেগ বাহাদুর সিংয়ের ৪০০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার নয়া দিল্লিতে সিস গাঞ্জ সাহিব গুরুদুয়ারে জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যান মোদী। সূত্রের খবর কোনও রকম বিশেষ নিরাপত্তা ছাড়াই এই গুরুদুয়ারে ঢোকেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সটান একেবারে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে গুরুদুয়ারে গিয়ে প্রার্থনা সারেন প্রধানমন্ত্রী। 

নরেন্দ্র মোদী টুইটারে জানান, ''শ্রী গুরু তেগ বাহাদুর জি-র ৪০০ তম পুরখ পরব পুরবের বিশেষ অনুষ্ঠানে আমি তাঁকে প্রণাম জানাই এলাম। পিছিয়ে পড়া,অত্যাচারিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ও সাহসের জন্য তিনি গোটা দুনিয়ার কাছে অনুপ্রেরণার ও শ্রদ্ধার চরিত্র। তিনি কোনও রকম অত্যাচার ও ইবিচারের সামনে মাথা ঝোঁকাতে অস্বীকার করতেন। ওনার অসাধারণ ত্যাগ সবাইকে শক্তি ও এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়। ''

আরও পড়ুন: করোনাকালে বিনামূল্যে খাবার আর চিকিৎসকদের জন্য বিমা নিয়ে আলোচনা, বিশেষ সচিবগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক মোদীর

Scroll to load tweet…

গুরু তেগ বাহাদুরকে শিখ ধর্মাবলম্বীরা জীবনের মূল্যবোধ এবং জীবনযাত্রার মূর্ত প্রতীক হিসেবেই দেখেন। সত্য ও চিরন্তন মূল্যবোধ রক্ষার জন্য তাঁর আত্মত্যাগ সবাইকে অনুপ্রেরণা দেয়। প্রসঙ্গত, ১৬৭৫ সালে দিল্লিতে মুগল সম্রাট ঔরাঙ্গজেবের আদেশে শিখদের নবম ধর্মগুরু গুরু তেগ বাহাদুরকে প্রকাশ্য হত্যা করা হয়, কারণ তিনি ইসলাম ধর্মে পরিণত হতে অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: করোনা টিকা নেওয়ার আর্জি চিকিৎসকের, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর গলদঘর্ম ছবি ভাইরাল

শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে শিখদের প্রথম গুরু গুরু নানকের শিক্ষা অনুসরণ করা গুরু তেগ বাহাদুর ছিলেন নবম গুরু। তাঁর রচিত ১১৫ টি কবিতা গুরু গ্রন্থ সাহেবে অন্তর্ভুক্ত আছে। ছোটবেলায় তেগ বাহাদুর সিংয়ের নাম ছিল ত্য়াগমাল।

মাত্র ১৪ বছর বয়েসে মুঘলদের বিরুদ্ধে তাঁর বাবাকে যুদ্ধ করতে দেখে অসীম সাহসের অধিকারী হন তিনি। পরবর্তীকালে সাহসের ওপর ভর করেই তিনি লড়ে যান।

করোনা বিধি মেনেই রাজধানীর এই গুরুদুয়ারে আজ পালিত হচ্ছে তেগ বাহাদুরের ৪০০ তম জন্ম জয়ন্তী। সামাজিক দূরত্ব বিধির দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সবাইকে মাস্ক পরতে দেখা গিয়েছে।