সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলা
- বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
- বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সচিবগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক
- পরিস্থিতি মোকাবিলায় জোর দেন তিনি
নরেন্দ্র মোদী গরিবদের জন্য 'প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা' আরও সম্প্রসারণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে এদিন আলোচনা হয় 'এক দেশ এক রেশন কার্ড ' ব্যবস্থা নিয়েও। এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু হলে আরও বেশি পরিমাণের মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যাবে। মানুষের উপকারে লাগবে বলেও মনে করা হয়। শুক্রবার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের ফলে দেশে তৈরি হওয়া সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের জন্য বিমা প্রকল্পটি আরও ৬ মাসের জন্য বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে আবারও দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত সচিবদের সঙ্গে গোটা বিষয় পর্যালোচনা করেন। আর সেই বৈঠকেই তিনি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের দরিদ্র মানুষ যাতে কোনও সমস্যা ছাড়াই খাবার পায় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করে যেতে হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের পরিবার যেন প্রয়োজনে বিমার টাকা ফেরত পান তারও ব্যবস্থা করতে হবে।
মহামারির এই সংকটকালে সাপ্লাই চেন, লজিস্টিক ম্যানেজমেন্টের ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পণ্য চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই বিষয় নিয়ে কর্মকর্তাদের দ্রুততার সঙ্গে পরিকল্পনা গ্রহণ করতেও বলেছেন তিনি।
বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন কিনি। স্বাস্থ্যখাতে চাপ কমাতে স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর প্রয়োজনে নির্ভর করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই কাজে সেনা বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যে সব করোনা রোগী বাড়িতে রয়েছেন তাঁদের সহযোগিতা ও প্রয়োজনী পরামর্শের জন্য কলসেন্টার স্থাপনেও উৎসহ দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী। করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় ২০২০ সালের প্রথম দিকেই সচিবদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। এই দলে নীতি আয়োগের সদস্যদের স্থান দেওয়া হয়েছিল। মহামারির এই দ্বিতীয় পর্বে আবারও সচিবদের সেই দলটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।