সংক্ষিপ্ত
এদিন মুম্বইতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী তথা লতা মঙ্গেশকরের বোন আশা ভোঁসলে-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাত থেকে এই সম্মান গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী। নিঃস্বার্থ সেবার জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।
প্রথমবার লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল মুম্বইতে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। মোদীই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই পুরস্কার পেলেন। আর এই পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর কিছুটা আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘যখন এই পুরস্কার লতাদিদির মতো বড় দিদির নামে নামাঙ্কিত, তখন তা তাঁর একাত্ম ও ভালবাসার প্রতীক আমার প্রতি। ’
এদিন মুম্বইতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী তথা লতা মঙ্গেশকরের বোন আশা ভোঁসলে-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাত থেকে এই সম্মান গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী। নিঃস্বার্থ সেবার জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। এই বছর থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। এবার থেকে প্রতি বছর গীতিকার লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে পুরস্কারটি দেওয়া হবে। দেশ, সমাজ ও জনতার কল্যাণে যাঁরা দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন, তাঁদের উদাহরণ হিসেবে সামনে আনতে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন- ক্যাসিনো খেলতে বিদেশে ছুটতে হবে না, পর্যটকদের জন্য দেশের এই রাজ্য বৈধ হচ্ছে জুয়া
এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী জানান যে তিনি এই সম্মান উৎসর্গ করছেন দেশবাসীকে। মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয়। এই সম্মানের প্রথম পুরস্কারই তুলে দেওয়া হয়েছে মোদীর হাতে।
পুরস্কার হাতে নেওয়ার পর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, "সঙ্গীত মাতৃত্ব আর ভালবাসার অনুভূতি দেয়। সঙ্গীত নিয়ে যেতে পারে দেশাত্মবোধ আর কর্তব্যের দিকে। আমরা সবাই ভাগ্যবান যে আমরা সঙ্গীদের ক্ষমতা দেখেছি, আর তা দেখেছি লতা দিদির রূপে। সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে আমি মনে করি সঙ্গীত হল সাধনা।" এরপর কিছুটা আবেগঘন হয়ে তিনি বলেন, "লতা দিদি আমার কাছে বড় দিদির মতো। আমি সব সময় তাঁর কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। বহু যুগ পর প্রথমবার আসন্ন রাখি উৎসবে লতা দিদি থাকবেন না।"
মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, লতা মঙ্গেশকরের নামাঙ্কিত এই পুরস্কারে ভূষিত হয়ে তিনি অত্যন্ত গর্ব বোধ করছেন। লতা মঙ্গেশকরকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘লতা দিদিও স্বপ্ন দেখতেন শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তোলার।’ উল্লেখ্য, ৬ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয়ে যায় ভারতের নাইটিঙ্গল লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণের পর তাঁর নামে নামাঙ্কিত এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।