সংক্ষিপ্ত

  • ৭১তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
  • অনুষ্ঠানের বড় অংশ জুড়ে ছিলেন ঋষি অরবিন্দ
  • বাংলার বিপ্লবীর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরেন মোদী 
  • স্মরণ করেন গুরু নানককেও 
     

বিহারের পর বিজেপি যে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করছে তা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। মন কি বার অনুষ্ঠানে ঋষি অরবিন্দকে নিয়েও চর্চা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন আগামী ৫ ডিসেম্বর অরবিন্দর ৭০তম জন্ম বার্ষিকী। আর এই ঋষির জীবন আর আদর্শ আধিনুক ভারতেও প্রসঙ্গিক। দেশের যুব সম্প্রদায় অরবিন্দ সম্পর্কে যত পড়শুনা করবে ততই নিজের সম্পর্কে উপলব্ধি বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অরবিন্দর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বাংলায় একটি প্রচলিত কবিতাও পড়েন।যার সারকথা ছুঁচ থেকে দেশলাই-- সব কিছুই বিদেশ থেকে আশে। কিন্তু সব জিনিস, দেশে উৎপাদনের মাধ্যমেই আসবে প্রকৃত স্বাধীনতা। ঋষি অবরিন্দর কথা উত্থাপন করে মোদী আরও একবার বাংলার মানুষের ভাবাবেগকে নিজের দিকে টানার চেষ্টা করেছেন বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 
 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় অরবিন্দ ছিলেন বাংলার স্বাধীনতার বিদ্রোহী। তাঁর লড়াই ছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। কিন্তু অরবিন্দ দেশের সর্বক্ষেত্রে বদল আনার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়েনে জোর দিয়েছিলেন। স্বাদেশী দ্রব্য তৈরি ও ব্যবহারের ওপরেও জোর দিয়েছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও বদল আনার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাঁর দেখানো পথেই নতুন শিক্ষানীতি সংস্কার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন ঋষি অরবিন্দর শিক্ষানীতিকে রীতিমত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭১তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে গুরু নানকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুরু নানকের দেখানো পথে এখনও এগিয়ে চলেছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। গুরু নানক লঙ্গর প্রথা চালু করেছিলেন। সেই প্রথা অবলম্বন করে এই করোনা মহামারির সময়ও লক্ষ লক্ষ অভুক্ত মানুষকে খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন তাঁরা। আগামিকাল গুরু নানকের জন্মদিন। দেশের মানুষ তাঁকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করবে বলেো আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।