সংক্ষিপ্ত

  • এক ফোঁটা জলের জন্যে হাহাকার করতে হতে পারে দেশকে।
  • ভারতে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ তীব্র জলকষ্টের মধ্যে পড়বেন। 
  • তাই দ্বিতীয় সরকারের প্রথম কাজের দিন থেকেই জল সংকট মোচনে নামতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।  

এক ফোঁটা জলের জন্যে হাহাকার করতে হতে পারে দেশকে। সম্প্রতি নীতি আয়োগের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ-সহ ভারতের ২১টি রাজ্যের ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের পরিমাণ একেবারে তলানিতে এসে ঠেকবে। যার ফলস্বরূপ ভারতের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ তীব্র জলকষ্টের মধ্যে পড়বেন। 

একথা বিলক্ষণ জানেন প্রধানমন্ত্রী। তাই দ্বিতীয় সরকারের প্রথম কাজের দিন থেকেই জল সংকট মোচনে নামতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। 

এদিন লোকসভায় নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন জল সংকট নিয়ে কতটা ভাবিত তিনি।

নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, 'বাবাসাহেব বলতেন ইংরেজি নয়, জলের অভাবে মানুষ মারা যায়। আমি এই কথাটা মেনে চলতে চাই। রাজস্থানের লোক জানে জলের অভাব কী। আমি তাই আলাদা করে জলশক্তি মন্ত্রক করেছি।'

জলসংকট দূরীরকরণের পরিকল্পনায় লোকসভার সকল বিরোধিদের সহায়তাও চান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করি দেশে জলের  অভাবটা বুঝে এই সংকটমোচনে এগিয়ে আসতে। জলের সংকট মা বোন আর গরীব মানুষদের  সবচেয়ে বেশি হয়।'

রামমনোহর লোহিয়ার প্রসঙ্গ তুলে আনেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ' লোহিয়া সব সময়ে বলতেন শৌচালয় আর জলের অভাবেই ভোগে দেশর মানুষ। আমি সেই সমস্যা সমাধানেই এগিয়ে এসেছি। জল বাঁচাতেই হবে। প্রতি ফোঁটা জল বাঁচাতে  হবে। নতুন ব্যবস্থা আনতে হবে। রাজনীতি করে এই কাজ আটকানো চলবে না।'