সংক্ষিপ্ত
- কেন্দ্রের অর্থসাহায্যে না
- যশের মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণ চায় না ওডিশা
- করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বোঝা বাড়াতে চান না নবীন পট্টনায়েক
- ট্যুইট করে কেন্দ্রকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
করোনা পরিস্থিতিতে বেহাল দশা দেশের। লড়ছে কেন্দ্র-রাজ্য। লড়ছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় সাইক্লোন যশের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য হিসেবে কেন্দ্রের কাছে হাত পাততে রাজী নন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর দাবি এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক পরিকাঠামো মজবুত নেই। কেন্দ্র যথাসাহায্য চেষ্টা করে চলেছে। এই অবস্থায় যদি সাইক্লোনে ক্ষতির জন্য অর্থা সাহায্য কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হয়, তবে তা অমানবিক হবে।
ট্যুইট করে নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন ওডিশার পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ। তবে ওডিশার কোনও ক্ষতিপূরণ বা ত্রাণের জন্য অর্থ সাহায্যের প্রয়োজন নেই। সেই টাকা দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজে লাগালে বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। কেন্দ্রের ওপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক বোঝা বাড়াতে চাইছে না ওডিশা।
এদিকে, ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yass) ওড়িশার উত্তর উপকূলবর্তী বালাসোরের কাছে ধামরা গ্রামে আছড়ে পড়েছিল বুধবার সকালে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বুধবার বিকেল থেকেই এটি শক্তি হারাতে শুরু করে। তাই নতুন করে আর বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে মনে করছে প্রশাসন।
বিশেষ ত্রাণ কমিশনার প্রদীব জেনা জানিয়েছেন, প্রথমিক মূল্যায়নের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তেমন আশঙ্কা জনক নয়। তিনি বলেছেন বালাসোর ও ভদ্রক জেলায় বালাসোর থেকে ভদ্রক পর্যন্ত উপকূলবর্তী এলাকায় ২-৩ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। তা ময়ূরভঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কেওনঝাড় আর বালাসোরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে বালাসোরের উপকূলবর্তী তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ। একইভাবে ভদ্রকে বানভাসী গ্রামের সংখ্যা ১০। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। জল সরানোর জন্য রাস্তা কাটার কাজও শুরু হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে গাছ কাটাসহ একাধিক কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। একই সঙ্গে কাজ করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় একাধিক উদ্ধারকারীর দল কাজ করছে। পিডাব্লুডির সঙ্গে কিউআরটি ও ডিআরএফ দল এক জোট হয়ে কাজ করছে। রাস্তা থেকে গাছ কাটা বা সমুদ্রের জল বার করে দেওয়ার ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে করছে।
উল্লেখ্য, সোমবারই ওডিশাকে ৬০০ কোটি টাকা অর্থসাহায্যের ঘোষণা করেন মোদী। তবে সেই অর্থের প্রয়োজন নেই বলে শুক্রবার জানিয়ে দিলেন নবীন পট্টনায়েক।