সংক্ষিপ্ত

পঞ্জাবের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঘোলা জলে যাতে বিজেপি কোনও সুবিধা করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ড জানিয়েছে দলের রাজ্য স্তরের নেতাকর্মী এবং বিধায়কদের এই সমস্যাটি সমাধান করতে হবে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির (Punjab unit chief) পদ থেকে নভজ্যোত সিং সিধুর পদত্যাগপত্র (Navjot Singh Sidhu's resignation) গ্রহণ করল না (refused to accept) কংগ্রেস হাই কমান্ড(Congress high command)। অভ্যন্তরীণভাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রের খবর পঞ্জাবের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঘোলা জলে যাতে বিজেপি কোনও সুবিধা করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ড জানিয়েছে দলের রাজ্য স্তরের নেতাকর্মী এবং বিধায়কদের এই সমস্যাটি সমাধান করতে হবে।

 

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক বাওয়া হেনরি বলেন, পঞ্জাব কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর পদত্যাগ হাইকমান্ড গ্রহণ করেনি এবং শীঘ্রই বিষয়টি সমাধান করা হবে। এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নী। বুধবারই মন্ত্রিসভার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। কারণ জল্পনা চলছে যে সিধুর সমর্থনে আরও বেশ কয়েক জন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারেন। 

মঙ্গলবার, বিধায়ক পরগৎ সিং এবং অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং সিধুর সঙ্গে তাঁর পাটিয়ালার বাসভবনেদেখা করেন। সিধুকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করেন। সিধুর সঙ্গে বৈঠকের পর অমরিন্দর সিং ওয়ারিং সাংবাদিকদের বলেন, কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, সমস্যা রয়েছে। তবে তা খুব দ্রুত মিটে যাবে। বুধবারই সমস্যার সমাধান করা হবে। 

কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খাইরাও জানিয়েছেন যে তাঁরা সিধুকে তাঁর পদত্যাগ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। নভজ্যোত সিং সিধু পঞ্জাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। যদি তার পরামর্শের প্রতি মনোযোগ না দেওয়া হয়, তবে তাঁর দাবি পদে থেকে কোনও লাভ নেই। এই বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা চলছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুসারেই সব কাজ হবে। 

এদিকে, মঙ্গলবার আচমকাই দল পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেই তিনি পদত্যাগ করেন। সিধুর প্রতি আনুগত্য জানিয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়েন কংগ্রেস নেত্রী রাজিয়া সুলতানা। মাত্র দুই দিন আগেই চরণজিৎ চন্নির ক্যাবিনেট সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। মালেরকোটলার বিধায়ক রাজিয়া জানান সিধুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করছেন। রাজিয়ার পদত্যাগের পর কিছুটা হলেও সংকটে চন্নির মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর মন্ত্রিসভার বৈঠকও বলেছে। 

অন্যদিকে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিং দিল্লি এসেছেন। নিজের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর তাঁর বিজেপি শীর্ষ নেতা অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করার কথা। অন্য একটি সূত্র বলছে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। যদিও অমরিন্দর জানিয়েছেন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি দিল্লি আসেননি। 

"