সংক্ষিপ্ত

শুক্রবারই জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন তিনি।

অবশেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরলেন শরদ পাওয়ার। শুক্রবারই জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন তিনি। সিনিয়র এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল এর আগে বলেছিলেন যে পাওয়ার পার্টি প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আরও সময় চেয়েছেন। শুক্রবার অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন শরদ পাওয়ার।

গত ২ মে মুম্বইতে নিজের আত্মজীবনি প্রকাশের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই এই ঘোষণা করেছিলেন শরদ পাওয়ার। তাঁর এই আকষ্মীক সিদ্ধান্তে অবাক হন উপস্থিত এনসিপি কর্মী-সমর্থকরা। সিদ্ধান্ত বদলের জন্য বারার আর্জি জানানো হয় শরদ পাওয়ারকে। কিন্তু নিজের সিদ্ধেন্তে অনড় তিনি। এবার এই পরিস্থিতিতে দলের ভার কার হাতে যাবে? কন্যা সুপ্রিয়া সুল? নাকি ভাইপো অজিত পাওয়ারের হাতে? শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে দলের রাশ কার হাতে থাকবে।

'আমি সরে যাচ্ছি', মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করলেন শরদ পাওয়ার। এনসিপি প্রতিষ্ঠাতার এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির মহলে। শরদ পাওয়ারের পদত্যাগের পর দলের রাশ যাবে কার হাতে? এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত? তবে কি রাজনীতি থেকেই অবসর নিচ্ছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য নিজেই খোলসা করেছেন তিনি। এনসিপির সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার।

অন্যদিকে শরদ পাওয়ারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ঘটনাস্থলে। শরদ পাওয়ার এই সিদ্ধান্ত না বদলালে তাঁরা অডিটোরিয়াম ছাড়বেন না বলেও ঘোষণা করেন তাঁরা। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও মত বদল হল না বর্ষীয়ান রাজনীতিকের। বরং কমিটিতে কারা কারা থাকবে সেবিষয় মুখ খুলেছেন তিনি। শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের কমিটিতে থাকবেন,প্রফুল প্যাটেল, সুনীল তাটকরে, কেকে শর্মা, পিসি চাকো, অজিত পাওয়ার, জয়ন্ত পাতিল, সুপ্রিয়া সুলে, ছগান ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অনিল দেশমুখ, রাজেশ টোপে, জিতেন্দ্র আওহাদ, হাসান মুশরিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডে, জয়দেব গায়কওয়াড়। এছাড়াও থাকবেন,জাতীয়তাবাদী মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি ফৌজিয়া খান, জাতীয়তাবাদী যুব কংগ্রেসের সভাপতি ধীরজ শর্মা, জাতীয়তাবাদী যুব কংগ্রেস এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্র কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া দুহান।