সংক্ষিপ্ত

বিতর্কে রাশটানতে পাওয়ারের মন্দির সফর নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি নেতা প্রশান্ত জাগতাপ। তিনি বলেছেন শরদ পাওয়ার মন্দিরে আসার আগে আমিষ খাবার খয়েছিলেন তাঁর ইচ্ছে থাকলেও মন্দিরে প্রবেশে সায় দেয়নি তাঁর মন।

এনসিপি নেতা শারদ পওয়ার সম্প্রতি দাদদুশেঠ মন্দিরে গিয়েছিলেন। মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করলেও তিনি গণপতির দর্শন করেননি । যা নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিতে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শরদ পাওয়ার মন্দির কমপ্লেক্সের বাইরে থেকে দেবতার দর্শন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল পুনে ইউনিটের সভারতি প্রশান্ত জগতাপ। 

যে জমির ওপর দাগদুশেঠ গণপতির মন্দির রয়েছে, যেটি মূলত মহারাষ্ট্র সরকারের। তাই ঝামেলা এড়াতে জমিটি দীর্ঘ দিন ধরেই মন্দিরট্রাস্টের হাতে হস্তান্তর করার দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন এনসিপি নেতা ওয়ালসে পাটিল। মন্দির ট্রাস্টের সেই দাবি খতিয়ে দেখতেই শরদ পাওয়ার পুনের মন্দিরটিতে গিয়েছিলেন। পাওয়ার মন্দির প্রাঙ্গনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মন্দিরে প্রবেশ করেননি। তাঁর এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। প্রবল সমালোচনা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। 

যাইহোক বিতর্কে রাশটানতে পাওয়ারের মন্দির সফর নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি নেতা প্রশান্ত জাগতাপ। তিনি বলেছেন শরদ পাওয়ার মন্দিরে আসার আগে আমিষ খাবার খয়েছিলেন তাঁর ইচ্ছে থাকলেও মন্দিরে প্রবেশে সায় দেয়নি তাঁর মন। তাতেই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মূল মন্দিরে যাননি।  বাইরে থেকেই তিনি গণপতির দর্শন করেছিলেন। জগতাপ আরো বলেছেন, পাওয়ার তাঁকে বলেছিলেন মন্দিরের যাওয়ার পরকল্পনা তাঁর ছিল। কিন্তু আগের রাতেই তিনি আমিষ খাবার খেয়েছিলেন। তাই বাইরে থেকেই গণপতির দর্শন করেছিলেন ।  মন্দিরের ভিরতে ঢুকতে তাঁর মন চায়নি। তিনি বিশুদ্ধ অবস্থাতেই মন্দিরে যেতে চেয়েছেন। পরে মন্দিরে আসবেন বলেও জানিয়েছেন পাওয়ার। 

তবে এই বিষয় নিয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা তথা শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন করাই আবান্তর। কারণ পাওয়ার যদি মন্দিরে ঢুকে গণপতির দর্শন করতেন তাহলেও বিতর্ক হত। এখন তিনি মন্দিরে যাননি তাই নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, অনেক সময়ই মানুষ আমিষ খাবার খেয়ে মন্দির দর্শন করে। কিন্তু এই বিষয় তাঁরা অন্যদের কাছে নিজের পরিচ্ছন্ন ভামমূর্তি তুলে ধরলেও নিজের কাছে সত্য গোপন করেন। তাই কেউ জানতে পারে না সেই ব্যক্তি কী কাজ ররছে। কিন্তু শরদ পাওয়ার তা করেননি। তিনি আরও বলেছেন ভক্তি আসল। মহামারির সময় মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। সেইসময় অনেকেই মন্দিরের বাইরে থেকেই দেবতার দর্শন করেছেন।