সংক্ষিপ্ত

বিজেন্দর গুপ্তা ২০২৩ সালে ওড়িশার স্টাফ সিলেকশন কমিশনের প্রশ্নফাঁস , বিহার ও মধ্যপ্রদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল।

 

কীভাবে NEETএর প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল? কী ছিল পরীক্ষা মাফিয়াদের উদ্দেশ্যে? তাই নিয়ে তোলপাড় দেশ। প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের তদন্তের ভার সিবিআই-এর ওপর। ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস দমন শাখা মহারাষ্ট্র থেকে প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তাতে তদন্তকারীদের অনুমান প্রশ্নফাঁসের বিপুল পরিমাণ টাকা হাত বদল হয়ে চলে গেছে জঙ্গিদের কাছে। এই অবস্থায় কীকরে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করা হয় তাই জানালন এক পরীক্ষা মাফিয়া। সেই ব্যক্তি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে একই সঙ্গে ৭০০ পরীক্ষার্থীকে টার্গেট করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ২০০-৩০০ কোটি টাকা আয়। সেই ব্যক্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে আগেই দুইবার গ্রেফকার হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়া টুজের এর বিশেষ তদন্তকারী দল এমন এক ব্যক্তিকে খুঁজে বার করেছে যে একটা সময় প্রশ্নফাঁস কান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রশ্নফাঁসের মত জটিল অপারেশের একেকটা স্তর পার করেছে। সেই ব্যক্তির নাম বিজেন্দর গুপ্তা। অতীতে একাধিক প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। দুইবার গ্রেফতার হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে আবারও সেই কাজেই হাত পাকিয়েছে। চলতি বছর মার্চ মাসেই বিজেন্দর গুপ্তা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল এবার NEET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে। সেই সমত এবার কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

বিজেন্দর গুপ্তা ২০২৩ সালে ওড়িশার স্টাফ সিলেকশন কমিশনের প্রশ্নফাঁস , বিহার ও মধ্যপ্রদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। গত ২৪ বছর ধরে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত সে। বিজেন্দর দাবি করেছে এই ব্যবসায় নেটওয়ার্কই হল আসল।

বিজেন্দর বলেছে, NEET-UGতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের লক্ষ্য ছিল পরীক্ষা মাফিয়াদের টার্গেট করা ৭০০ জন পড়ুয়া। যদিও দেশের প্রায় ২৪ লক্ষ পড়ুয়া এই পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষা মাফিয়াদের উদ্দেশ্য ছিল ২০০-৩০০ কোটি টাকা আয় করা।

বিজেন্দর বলেছেন, প্রশ্ন ছাপার টেন্ডার মূলত পেত কালোতালিকাভুক্ত সংস্থাগুলি। প্রশ্ন পাঠানর সময়ই বাক্স ভাঙা হয়। আর সেখান থেকে প্রশ্ন বার করে নেওয়া হয়। NEET-UG প্রশ্নফাঁসে মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব মুখিয়াকেও সে চেনে। বর্তমানে সঞ্জীব পলাতক। গ্রেফতার করা হয়েছে বিশাল চৌরাসিয়াকে। গুপ্তা বলেছে, পরীক্ষা মাফিয়াদের স্লোগানই হল, 'জেল বেল আবার খেল'।

বিজেন্দর আরও বলেছে, প্রশ্নফাঁস করার জন্য একটি বড় ব়্যাকেট কাজ করে। অনেকভাবে প্রশ্ন ফাঁস করার চক্রান্ত করা হয়। অনেক পদ্ধতি তাদের অবলম্বন করতে হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। ছাপাখানায় কর্মরতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। এমনকি টেন্ডার প্রক্রিয়াতেও হস্তক্ষেপ করে প্রশ্ন মাফিয়ারা।