- Home
- India News
- NetajiSubhash Chandra Bose: এখনও বাঙালির স্বপ্নের নায়ক নেতাজি, জন্মদিনে দেখুন তাঁর ১০টি ছবি
NetajiSubhash Chandra Bose: এখনও বাঙালির স্বপ্নের নায়ক নেতাজি, জন্মদিনে দেখুন তাঁর ১০টি ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
'আমাকে তোমরা রক্ত দাও- আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।' এই একটি উক্তি বুঝিয়ে দেয় নেতাজি দেশকে স্বাধীন করার জন্য কতটা মরিয়া ছিলেন। উদ্দেশ্য একটা - দেশ স্বাধীন করা। আর তাই জন্য জর্মানি থেকে জাপান- ছুটে বেরিয়ে ছিলেন তিনি।
নেতাজির জন্ম-মৃত্যু
১৮৮৭ সালের ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্ম। কিন্তু মৃত্যু আজও রহস্যে মোড়া। কারও মতে জাপানে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু। কেউ আবার দাবি করে রাশিয়াতে তাঁকে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল।
গুমনামীবাবা
নেতাজিকে নিয়ে আরও একটি রহস্য রয়েছে। অনেকেই মনে করেন তিনি দেশে ফিরেছিলেন। গুমনামী বাবা ছদ্মনাম নিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে কাটিয়েছেন জীবনের শেষকটি দিন। দিল্লির প্রথম সারির রাজনীতিবিদরা তাঁর কাছে আসত। কিন্তু সবই বন্দি নেতাজিকে নিয়ে লেখা সরকারি ফাইলে। যার কিছু প্রকাশহলেও অধিকাংশ অপ্রকাশিত
নেতাজির জন্মবৃত্তান্ত
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিখ্যাত বসু পরিবারে জন্ম তাঁর। মা প্রতিভা বসু। বাবা জানকীনাথ বসু। বর্তমান ওড়িশার কটকে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব। সেখানেই শুরু পড়াশুনা। ছোট থেকেই রাময়ন , মহাভারত আর বেদ উপবিষদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আমৃত্যু নেতাজি ছিলেন একজন হিন্দু।
পরধর্মে উদার নেতাজি
নেজাতি নিজে ছিলেন কঠোর হিন্দু। কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ছিল অগাঘ। সকলে ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা দেখাতেন। আর সেই বিষয় অনুশীলন শুরু করেছিলেন নিজের তৈরি ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মিতে।
আজাদ হিন্দ বাহিনীতে মহিলাদের প্রাধান্য
তৎকালীন ভারতে মহিলাদের গতিবিধি ছিল চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সমাজের উচ্চস্তরের মহিলারা কাজ বা পড়াশুনার জন্য বাইরে বার হলেও মধ্যবিত্ত জন্য তা অবারিত ছিল না। কিন্তু সেই সময়ই নেতাজি তাঁর তৈরি সেনাবাহিনীতে মহিলাদের জন্য একটি ব্রিগেড তৈরি করেছিলেন। যা ঝাঁসীর রানী বাহিনী নামে পরিচিত ছিল।
সিভিল সার্ভিসে 'না'
দুর্দান্ত পড়াশুনায় ছিলেন নেতাজি। প্রেসিডেন্স কলেজের ছাত্র ছিলেন। দর্শন ছিল তাঁর মূল বিষয়। তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতেও পাশ করেন। কিন্তু বিপ্লবী চেতনার কারণে ব্রিটিশের অধীনা চাকরি করতে রাজি হননি। বিলেত থেকে ফিরে স্বরাজ নামের একটি সংবাদপত্রে লেখালেখি শুরু করেন।
কংগ্রেসে যোগ
১৯২১ সালে বিলেত থেকে ফেরেন নেতাজি। সেই সময় তিনি গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করেন। তখন দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন চলছে। সেই সময়ই তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের অত্যান্ত প্রিয় ছিলেন নেতাজি। ১৯২৭ সালে তিনি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৩০ সালে কলকাতার মেয়র।
কংগ্রস ত্যাগ
কিন্তু ১৯৩৯ সালে গান্ধীজির সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। দূরত্ব আরও বাড়ে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। তখন ভারতের হয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেন লর্ড লিনলিথগো। সেই সময় তিনি নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক তৈরি করেন। কলকাতা তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। ১৯৪০ সালে অর্থাৎ পরের বছর মুক্তি পান।
দেশ স্বাধীনই লক্ষ্য
ভারতকে স্বাধীন করতে হবে। একমাত্র এই লক্ষ্য নিয়েই রাতের অন্ধকারে চুপিসারে দেশ ছাড়েন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আফগানিস্তান হয়ে সোভিয়েত রাশিয়া হয়ে জার্মানিতে যান। হিটরারে কাছে সাহায্য চান। তারপর সেখান থেকে পাড়ি দেন জাপানে। জাপানে ভারতীয়দের যুদ্ধ বন্দিদের নিতে তিনি তৈরি করেন আজাদ হিন্দু বাহিনী। যুদ্ধ ঘোষণা করেন ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে।