সংক্ষিপ্ত
চিনের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের
এই বিষয়ে এনআইএ বা সিবিআই তদন্তের দাবি করে হয়েছে মামলা
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন এই চুক্তির বৈধতা নিয়ে
ঠিক কী বললেন তিনি
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে সাক্ষর করা চুক্তি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সঙ্গে চিনা কমিউনিস্টট পার্টির এই গোপন চুক্তির বিষয়ে এনআইএ বা সিবিআই তদন্তের দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন সাভিও রডরিগস নামে এক ব্যক্তি। এদিন সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীন ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে প্রশ্ন তোলেন, ২০০৮ সালে কংগ্রেস কীভাবে চিনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল? কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একটি বিদেশি সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরের মতো বিষয় আদালত কখনও শোনেনি।
এই মামলার আবেদনে সাভিও রডরিগস প্রশ্ন তুলেছেন, কংগ্রেস কেন এই সমঝোতা চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি? তাঁর দাবি কংগ্রেস দলকে এই চুক্তি সবার সামনে প্রকাশ করতে হবে। কারণ ওই চুক্তি করার সময়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তার মানে তাদের কাছে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়ের তথ্য ছিল। তাই ওই চুক্তিতে কী কী বলা হয়েছিল তা জানা দরকারি। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা আর শুনতে চায়নি। রডরিগস-এর আইনজীবীদের বম্বে হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, চিন সরকারের সঙ্গে কংগ্রেস দল কোনও চুক্তি করেনি। ২০০৮ সালে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেস দলের, অর্থাৎ দুটি ভিন দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। এতে দুই দলের মধ্যে উচ্চ স্তরের বিনিময় এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে পরামর্শের কথা বলা হয়েছিল বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেছিলেন কংগ্রেসের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন বিশিষ্ট নেতা তথা বর্তমান চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং।
গত কয়েক মাসে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হয়েছে। গত জুন মাসে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে বারবার রাহুল গান্ধী কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন। এরপরই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, অভিযোগ করেছিলেন চিনের সঙ্গে কংগ্রেস যে সমঝোতা চুক্তি করেছিল, তার জন্যই গুরুতর পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধী 'ভারতীয়দের বিভক্ত করার' এবং 'সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল দমিয়ে দেওয়ার' চেষ্টা করছেন।