সংক্ষিপ্ত
- পুলিশের খাঁকি উর্দিদে লাগছে গোলাপী রঙের ছোঁয়া
- দিল্লি পুলিশ একটি বিশেষ মহিলা টহলদার বাহিনী তৈরি করেছে
- তাঁরা গোলাপী স্কুটারে চড়ে টহল দেবেন
- মহিলাদের আস্থা অর্জনেই এমন রঙের ব্যবহার
দিনকয়েক আগেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে হয়ে গেল পিঙ্কবল বা গোলাপী বল টেস্ট ম্য়াচ। সোয়া দুই দিনে সেই টেস্ট খতম হয়ে গেলেও গোলাপী উন্মাদনায় মেতেছিল গোটা দেশ। একসময় যে গোলাপী রঙ-কে মেয়েললি বলে একপাশে সরিয়ে রেখে দিত পুরুষরা, তারাই গোলাপী জানাকাপড়ে সজ্জিত হয়ে হাজির হয়েছিল ক্রিকেট খেলা দেখতে। আর নতুন ভারতের এই বদলে যাওয়া মননের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পুলিশের খাঁকি উর্দিদেও এবার লাগছে গোলাপী ছোঁয়া।
দিল্লি-তে মহিলাদের উপর অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রাস্তায় টহলদার পুলিশ থাকলেও অবস্থা এমনই যে, অনেক মহিলাই পুলিশের সাহায্য চাইতে যেতে ইতস্তত করেন। আর এই অসুবিধার কথা ভেবেই দিল্লি পুলিশ এক নতুন গোলাপী বাহিনী তৈরি করেছে।
১৬ জন মহিলা কনস্টেবল দিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাহিনি। আপাতত তাঁরা উত্তর-পশ্চিম জেলায় সকাল ১১টা থেকে ১টা ও বিকালে ৫টা থেকে ৭টা টহলদারি করবেন। তাঁদের চলাচলের জন্য মোট ৮টি গোলাপী রঙের স্কুটার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে খাঁকি উর্দি পরে গোলাপী হেলমেট মাথায় চাপিয়ে, গোলাপী স্কুটারগুলিতে করে তাঁরা কাজ শুরু করলেন।
কিন্তু পুলিশের যানবাহনের রঙ হঠাৎ গোলাপী করা হল কেন? গোলাপী বাহিনীর এক সদস্য জানিয়েছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন গোলাপী রঙ মহিলাদের পুলিশের উপর বিশ্বাস ফেরাবে। রঙের জাদুতেই দিল্লির মহিলারা এই মহিলা বাহিনীর কাছে সাহায্য় চাইতে দ্বিধা করবেন বলে ভাবা হয়েছিল। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতায় ওই কনস্টেবলের দাবি, রঙের টোটকা কাজে দিয়েছে। মহিলারা তাঁদের দেখে খুশি হয়েছেন। বাহিনীকে স্বাগত জানিয়েছেন। এরফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সংযোগ বেড়ে গিয়েছে।
মহিলাদের উপর অপরাধ রুখতে গোলাপী স্কুটার ছাড়াও এই বাহিনীর হাতে রয়েছে লঙ্কার গুঁড়ো, স্পাই ক্যামেরা, মরিচ গুঁড়ো ও অন্য অস্ত্র।