সংক্ষিপ্ত

বিরাট স্বস্তি দিয়ে বাজেটে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। নিঃসন্দেহে উপকৃত হবেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি সাধারণ মানুষ। 

নতুন এই আয়কর আইন যাতে সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয়, সেই কথা ভেবেই চলতি ‘আয়কর আইন-১৯৬০’-কে তুলনায় অনেকটা সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের।

এমতাবস্থায় করদাতাদের মনে একাধিক প্রশ্ন আসছে। বাস্তবে কতটা সহজ হবে আয়কর আইন?

নয়া আয়কর বিলে আনা হচ্ছে ‘আয়কর বছরে’-র পদ্ধতি। এর ফলে ‘অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার’এবং ‘প্রিভিয়াস ইয়ারে’-র সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন গ্রাহকরা। দ্বিতীয়ত, অর্থবর্ষে কোনওরকমের পরিবর্তন হচ্ছে না। অর্থবর্ষ শুরু হয় ১ এপ্রিল এবং শেষ হয় ৩১ মার্চ।

অন্যদিকে, নতুন বিলে বেশ কিছু ‘সেকশন’-এর নম্বরে পরিবর্তন আসতে চলেছে। যেমন বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী ‘আয়কর ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলিং’ সেকশন থাকছে ১৩৯-এর অন্তর্গত। নয়া কর পরিকাঠামো ১১৫বিএসি সেকশনের মধ্যে সাধারণত পড়ে।

তাই সেক্ষেত্রে বদল আসতে পারে এই সেকশনের নম্বরগুলিতে।

নয়া আয়কর বিলে ‘রেসিডেন্সি ল’-তে অবশ্য পরিবর্তন আসছে না। আগের মতোই থাকছে ‘রেসিডেন্সি ল’। তবে এই আয়কর আইনকে সহজ করতে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নয়া আইন সেখানে ২৯৮টি সেকশন এবং ১৪টি শিডিউল রাখা হবে বলে জানা গেছে।

আয়কর দাতাদের আইন বোঝা এবং ব্যাখ্যা করার সুবিধার জন্যই নতুন এই সংস্করণ করা হচ্ছে। ঠিক একই কারণে ‘অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার’ এবং ‘প্রিভিয়াস ইয়ারে’র জায়গায় ‘ট্যাক্স ইয়ারে’র ভাবনা আনা হচ্ছে।

টিডিএস সংক্রান্ত যাবতীয় সেকশনগুলিকে একজোট করে একটিমাত্র ক্লজের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আয়কর ব্যবস্থাকে সহজ করতেই এই প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে ‘আইটিআর ফাইলিং ডেডলাইন’, ‘ইনকাম ট্যাক্স স্ল্যাবস’এবং ‘ক্যাপিটাল গেইনসে’-র মধ্যে কোনওরকম পরিবর্তন আসছে না।

আয়কর বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি সূত্রে খবর, ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে নতুন আয়কর আইন কার্যকর করা হতে পারে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।