সংক্ষিপ্ত

হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, নতুন আবাসিক নীতিও ঘোষণা করেছিলেন। বলেছেন, যার অধীনে রাজ্য সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক যোগ্যতার মানদণ্ড হবে অসমে জন্মগ্রহণ করা বা অসমিয়া হওয়া।

 

'লাভ জেহাদ' নিয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি 'লাভ জেহাদ' নিয়ে নতুন আইন আনতে চলেছে। নতুন আইনে, 'লাভ জেহাদ' মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। রবিবার গুয়াহাটিতে বিজেপির রাজ্য-স্তরের কার্যনির্বাহী সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, নতুন আবাসিক নীতিও ঘোষণা করেছিলেন। বলেছেন, যার অধীনে রাজ্য সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক যোগ্যতার মানদণ্ড হবে অসমে জন্মগ্রহণ করা বা অসমিয়া হওয়া। তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকার খুব দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

সভায় বিজেপির সদস্যদের উদ্দেশ্যে হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, প্রাক-নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে রাজ্য সরকার এক লক্ষ সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যেও জমি বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও সরকার এই ধরনের লেনদেন রোধ করতে পারে না। হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, তার সরকার এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছিলেন যে প্রতি ১০ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ শতাংশহারে বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০৪১ সালে অসমে সংখ্যাগরিষ্ট হবেন মুসলিমরাই। তা আটকাতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

যদিও হেমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ দানিশ আলি। তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আদমশুমারি অনুযায়ী ১৯৫১ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ২৫ শকাংশ ও ২০১১ সালে ৩৪.২২ শতাংশ ছিল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।