সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে ভারতে শিশুদের পোলিও টিকার দুটি ডোজ় দেওয়া হয়। কিন্তু, তাদের সুরক্ষা আরও জোরদার করতে সেই নিয়মে কিছুটা বদল আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা।
শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে দেশের মানুষের ক্রমাগত সচেতনতার ফলে ভারতে প্রায় শূন্যের কোঠায় রয়েছে পোলিও রোগ। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর থেকে দেশে আর একটিও শিশু পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু, এতেও নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না বলেই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। শিশুদের শরীরে যেকোনও সময়েই আঘাত হানতে পারে ভয়াবহ পোলিও রোগ। এটা মাথায় রেখেই সুরক্ষা কবচ আরও পোক্ত করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।
বর্তমানে ভারতে শিশুদের পোলিও টিকার দুটি ডোজ় দেওয়া হয়। কিন্তু, তাদের সুরক্ষা আরও জোরদার করতে সেই নিয়মে কিছুটা বদল আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার থেকে আরও একটি ডোজ় বাড়ানো হবে বলে নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই এই নতুন নিয়ম চালু করা হবে বলে দেশবাসীর উদ্দেশে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Subscribe to get breaking news alerts
৬ সপ্তাহ বয়স থেকে ১৪ সপ্তাহ বয়সের মধ্যে প্রত্যেক শিশুকে ভারতে পোলিও টিকার দুটি করে ডোজ় দেওয়া হয়। কিন্তু, ২০২৩ সাল থেকে ১৪ সপ্তাহ থেকে ৯ মাস বয়সি শিশুদের এই টিকার আরও একটি ডোজ় দেওয়ার কথা ঘোষিত হয়েছে। এই পরিবর্তিত নিয়মের ওপর নজর রাখছে টিকাকরণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ও ইমিউনাইজেশন। পোলিও টিকার এই তৃতীয় ডোজ় শিশুর বাঁ হাতের ওপরের দিকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আসন্ন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের জন্য এই নতুন নিয়ম বলবৎ হতে চলেছে। যাতে সঠিক পদ্ধতিতে শিশুদের জন্য নয়া নিয়ম কার্যকর হয়, সে নির্দেশ স্পষ্টভাবে নিজেদের নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছে এনটিএজিআই। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ কমিটির একটি বৈঠকে শিশুদের এই তৃতীয় ডোজ় দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই পরামর্শ মেনেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, শিশুদের প্রথম দুটি ডোজ় যেমন দেওয়া হয়, তেমনই দেওয়া হবে। তৃতীয় ডোজ় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের সেই বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলাগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। দেশের প্রতিটি শিশু যাতে তৃতীয় ডোজ় পায়, সে দিকে নজর রাখবে কেন্দ্র।