সংক্ষিপ্ত
- গুয়াহাটি আইআইটির এক শিক্ষককে জেরা করা হল
- জেরা করল এনআইএ, গুয়াহাটির অদূরে তাদের অফিসে
- সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি
- তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন খোদ রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রী
সংশোধিত নাগরিকত্ব বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই 'অপরাধে'ই গুয়াহাটি আইআইটির শিক্ষক অরূপজ্য়োতি শইকিয়াকে রীতিমতো এনআইএ-র জেরার মুখে পড়তে হল। অরূপজ্য়োতিবাবু আইআইটিতে ইতিহাসের শিক্ষক। গুয়াহাটির অদূরে এনআইএ অফিসে তাঁকে জেরা করা হয় বলে খবর।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি হওয়ার পরেই অসমে ব্য়াপক বিক্ষোভ হয়। গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। বিক্ষোভ সামাল দিকে রীতমতো হিমশিম খেতে সেখানকার বিজেপি সরকারকে। এনআইএ অসমের এই আন্দোলনকে ভাল চোখে দেখেনি বলে খবর। তাই ওই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই কার্যত নজরে রেখেছে এই তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, অসমে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনের মাঝে গ্রেফতার করা হয় কৃষক নেতা অখিল গগৈকে। গ্রেফতার করা হয় কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির আরও তিনজনকে। জানা গিয়েছে, ওই মামলায় এবার জেরা করা হয়েছে আইআইটির শিক্ষককে। সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ চলাকালীন অরূপজ্য়োতি বাবুর সঙ্গে ফোনে কী কথা হয়েছিল কৃষক নেতা অখিল গগৈয়ের সঙ্গে, তা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাঁর কাছে জানতে চায় এনআইএ।
আইআইটির শিক্ষক অরূপজ্য়োতি শইকিয়ার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে । তাঁর লেখা বই, দ্য় ইউনিক রিভার: আ বায়োগ্রাফি অব ব্রম্ভপুত্র, যথেষ্ট স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও তাঁর লেখা আরও চারটি বই রয়েছে অসমের আঞ্চলিক ইতিহাসের ওপর।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে যখন সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল অসম, তখন রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, এই আন্দোলনে ইন্ধন রয়েছে শিক্ষা জগতের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্য়ক্তিত্বের। অর্থমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছিলেন যে, অগ্নিগর্ভ অসমে দিশপুর ক্য়াপিটাল কমপ্লেক্সে অসম সেক্রেটারিয়েচকে জ্বালিয়ে দেওয়ার চক্রান্তেও যুক্ত ছিলেন ওই বুদ্ধিজীবী!
যদিও গুয়াহাটি আইআইটির শিক্ষকদের ওপর এই প্রথম নয়, এর আগেও খাঁড়া নেমে এসেছে। সম্প্রতি সেখানকার ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্য়াপক ব্রিজেশ কুমার রাইকে 'দুর্ব্য়হার'রের অভিযোগে তাঁর কোয়াটার্স খালি করে দিতে বলা হয় এই মাসের মধ্য়ে। সেই সঙ্গে তাঁকে কমপালসরি রিটায়ারমেন্ট নিতেও বলা হয়। প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছিলেন ওই অধ্য়াপক। 'হুমকি' দেওয়ার অপরাধে ব্রিজেশ কুমার রাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিক একটি এফআইআরও দায়ের করেন।