সংক্ষিপ্ত
- করোনার নতুন স্ট্রেনের হাত থেক বাঁচতে উপায়
- জারি করা হল রাত্রিকালীন কার্ফু
- পরপর দুদিন রাত্রিকালীন কার্ফু জারি
- জানিয়েদিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেরজরিওয়াল
বর্ষ বরণের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়তে পারে তারজন্যই রীতিমত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল দিল্লির আপ সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হবে দিল্লিতে। বর্ষ বরণের অনুষ্ঠানে ভিড় আর জনসমাবেশ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আপ সরকার জানিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা থেকে পয়লা জানুয়ারী সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে। একই সঙ্গে পরের দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারী রাত ১১টা থেকে ২ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত কার্ফু জারী করা থাকবে। ব্রিটেনে পাওয়া নতুন করোনাভাইরাসের স্ট্রেন থেকে যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেই জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ভারতে ২০ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে। যারমধ্যে ৮ জনই রয়েছেন দিল্লিতে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কনট্র্যাক্ট ট্রেসিং করা হয়েছে। আক্রান্তদের বিচ্ছিন্ন করে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তারপরই রাজ্য সরকারে কোনও রকম ঝুঁকি নিয়ে চাইছে না। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমনিতেই দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এতটাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে মাসখানেক আগে দিল্লির পরিস্থিতি উন্নয়নে হাত লাগাতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্র, 'সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট' নিয়ে সতর্কতা ..
'কিছু দিনের মধ্যেই টিকা পাবে ভারত', নতুন বছরেই করোনা-মুক্তির ইঙ্গিত রণদীপ গুলেরিয়ার ...
সোমবারই স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে বর্ষ বরণের অনুষ্ঠানগুলির ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করা কথা বলা হয়েছিল। পাশাপাশি গতকালও স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি লিখে বর্ষ বরণের অনুষ্ঠানগুলিকে সুপার স্প্রডার হিবেসে চিহ্নিত করে সতর্ক করেছেন। তিনি বলছেন সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনে কড়া নজরদারী চালাতে হবে। অক্টোবর থেকেই দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্মগামী। যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। তাই করোনার নতুন স্ট্রেন যাতে নতুন করে সমস্যা তৈরি করতে না পারে সেইজন্য কেন্দ্রীয় সরকার বারবার রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে। নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।