সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হল বিনয় শর্মার আবেদন।

রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

নির্ভয়া মামলার অন্যতম এই আসামির দাবি তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

এদিন শুনানি চলাকালীন জ্ঢান হারান বিচারক ভানুমতী।

 

শুক্রবার পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্কের মধ্যেই ২০১২ দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনটি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিল যে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, তার করুণার আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করার সময় কারাগারে নির্যাতনের কারণে সে যে 'মানসিক স্থিতিশীলতা' হারিয়েছে, তা বিবেচনা করেননি।

এদিন আদালত সরাসরি এই আসামি পক্ষের এই দাবি অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, আসামি বিনয় শর্মার মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে তিনি মানসিক এবং শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। বিনয় শর্মার আবেদনে বলা হয়েছিল, তাঁর মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত সমস্ত প্রাসঙ্গিক রেকর্ড রাষ্ট্রপতির সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। কিন্তু দিন আদালতে সরকার পক্ষ দেখিয়ে দেয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি যে মেডিকাল রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে তাঁকে মানসিক দিক থেকে একেবারে সুস্থই বলা হয়েছিল।

এটাই বিনয়ের ফাঁসির হাত থেকে বাঁচতে শেষ আইনি চেষ্টা ছিল। কাজেই ফাঁসির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার তার আর কোনও সম্ভাবনা তার নেই। এর আগে আরও দুই আসামি মুকেশ সিং ও অক্ষয় কুমার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়। তারপর তারাও সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিল। সেখানও সুরাহা পায়নি। বিনয়ের ক্ষেত্রেও এক অন্যথা হল না।

এদিন শুনানি চলাকালীন আচমকাই জ্ঢান হারান বিচারক আর ভানুমতী। তাঁকে দ্রুত তাঁর নিজের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাঁকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। জানা গিয়েছে, তীব্র জ্বর নিয়েই এদিন আদালতে এসেছিলেন তিনি। মামলার সময়ও গায়ে যথেষ্ট তাপমাত্রা ছিল। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

 

এই চার আসামিরই ফাঁসির আবেদন কার্যকর হওয়ার বিষয়টি আটকে রয়েছে। নিম্ন আদালত জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত ফাঁসি স্থগিত থাকবে।