সংক্ষিপ্ত
- ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের হার ৬% বেড়ে ৬৪৩৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে
- বিমা মধ্যস্থতাকারীর ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ সুনিশ্চিত করা হবে বলে প্রস্তাব দেন তিনি
- দেশিয় ক্ষেত্রে বিনয়োগে নীতিকে শিথিল করতে বিভিন্ন শর্তের উপরেও ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি
এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানান, নয়া ভারত গড়ে তোলার উদ্যোগে এনডিএ সরকার বহু দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর জন্য বাস্তবায়িত করা হয়েছে একাধিক প্রকল্প। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়নে বেশকিছু নীতিগত সমস্যা রয়েছে। সেই জন্য এই প্রকল্পগুলি থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার প্রক্রিয়াও যে শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার বাজেট ঘোষণার সময় সে কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।
দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন সে কথাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তুলে ধরেন তিনি। এই দেশিয় বাজারে আরও বেশি পরিমাণে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার বলেও মনে করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর সেই উদ্দেশেই এফডিআই নীতি শিথিল করার প্রস্তাব এদিন বাজেট বক্তব্যে রেখেছেন নির্মলা সীতারামণ।
এনডিএ সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম পেশ করা পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ভারতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের হার ৬% বেড়ে ৬৪৩৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। পাশাপাশি বিমা মধ্যস্থতাকারীর ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ সুনিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এবং পাশাপাশি দেশিয় ক্ষেত্রে বিনয়োগে নীতিকে শিথিল করতে বিভিন্ন শর্তের উপরেও ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব দেন নির্মলা সীতারামণ। সিঙ্গল রিটেল ব্র্যান্ডেও ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। মিডিয়া সেক্টরেও বিদেশি বিনিয়োগকে ১০০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া যাায় কি না তাও খতিয়ে দেখার একটা ইঙ্গিত বাজেটে রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
আকাশ থাকুক নীল, ধরিত্রী মা থাকুক সবুজ- কৃষিক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী
শহুরে ভারতের জন্যও বাজেট বরাদ্দ করলেন অর্থমন্ত্রী, উঠে এল স্বচ্ছ ভারতের প্রসঙ্গও
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ৭০ হাজার কোটি দেওয়া হবে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী
লোকসভায় বাজেট পেশ করার সময়ে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এদেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মুনাফার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া দরকার। সেই কারণেই বিমান পরিষেবা, অ্যানিমেশন, ভিস্যুয়াল এফেক্ট, গেমিং ও কমিক্স এবং বিমা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে কী করে আরও বেশি পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হবে কেন্দ্রীয় সরকার বলে জানান অর্থমন্ত্রী।