সংক্ষিপ্ত
আজ সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া ২৯টি ফোনের একটিতেও পেগাসাস ভাইরাস না মেলায় বিজেপির তরফ থেকে টুইটারে কংগ্রেসকে সোজাসুজি প্রশ্ন করা হয়, “রাহুল গান্ধী কি এখন আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ক্ষমা চাইবেন?”
পেগাসাস নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড় চলতে থাকা দীর্ঘ এক বছরের বিতর্কে ইতি টানল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে কিছুটা স্বস্তি পেল কেন্দ্র সরকার। সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত কমিটি জানিয়েছে, জমা দেওয়া ২৯টি মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র ৫টি ফোনেই পাওয়া গেছে ম্যালওয়ার।
পেগাসাস ইস্যু-র তদন্তের জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ফোনগুলিতে পাওয়া ম্যালওয়ার আদৌও ‘পেগাসাস’ কিনা, তার অকাট্য কোনও প্রমাণ পায়নি সেই কমিটি। কমিটির দেওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে শীর্ষ আদালত। এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি এন ভি রমণ জানিয়েছেন, কমিটির দাবি, এই তদন্তে ভারত সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি। এই কমিটি পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের পর একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট যাচাই করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। ৩টি ভাগে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। ২টি রিপোর্ট টেকনিক্যাল কমিটির। বাকি ১টি রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রণের তদারকি কমিটির। এই ৩য় রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলেও জানিয়েছেন রমণ। কিছু আবেদনকারী অবশ্য বাকি দুটি রিপোর্টও প্রকাশ করার কথা বলেছেন। সে বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আপাতত ৪ সপ্তাহের জন্য এই মামলা মুলতুবি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণ নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ২০১৭ সালে ভারত এবং ইজরায়েলের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র এবং গোয়েন্দা সংক্রান্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তিতে উল্লেখ্য ছিল পেগাসাস স্পাইওয়ার এবং ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এই রিপোর্টটিকেই হাতিয়ার করে মোদী সরকারের বিরোধীতায় ময়দানে নেমেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। শতাব্দীপ্রাচীন দলের মুখপাত্র শামা মোহাম্মদ বলেনছিলেন, 'বিজেপি সরকার যে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ ভারতের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য সামরিক পর্যায়ের স্পাইওয়ার ব্যবহার করেছিল, এটাই তার অকাট্য প্রমাণ। এর জবাবদিহি করতে হবে।' তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও সেসময়ে সংসদে সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, কোনও ফোনেই আড়ি পাতা হয়নি।
আজ সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া ২৯টি ফোনের একটিতেও পেগাসাস ভাইরাস না মেলায় বিজেপির তরফ থেকে টুইটারে কংগ্রেসকে সোজাসুজি প্রশ্ন করা হয়, “রাহুল গান্ধী কি এখন আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ক্ষমা চাইবেন?”
আরও পড়ুন-
উৎসব নয়, উদযাপনের রীতি মানতেই এবছর বিজেপির শেষ দুর্গাপুজো?
এবার নজরে রাজ্যের সমবায় ব্যাংকের নিয়োগ দুর্নীতি, নাম জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের
ইডি-র ক্ষমতাবৃদ্ধি সম্পর্কে মোদী সরকারের মতামত কী? নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট