সংক্ষিপ্ত

উত্তপ্ত মণিপুরের হিংসা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে মোদী সরকারের ব্যর্থতাকে উল্লেখ করে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। এই প্রস্তাবে পরাজয় ঘটলেও হতে পারে রাজনৈতিক ‘জয়’। 

উত্তপ্ত মণিপুরের হিংসা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতাকে উল্লেখ করে ক‌েন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। একই বিষয়ে আলাদা করে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। লোকসভায় বিরোধীদের আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। এই প্রস্তাব সম্পর্কে সংসদে কবে আলোচনা হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২৬ জুলাই, বুধবার ‘ইন্ডিয়া’-র হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। বিআরএসের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। তেলঙ্গানার শাসকদল বিআরএস বারবার বিজেপির বিরোধিতায় সুর চড়ালেও তারা ‘ইন্ডিয়া’ জোটে অংশ নেয়নি।

বুধবার সকালেই লোকসভায় মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সা‌ংসদ মণীশ তিওয়ারি। রাজ্যসভায় ২৬৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আলোচনার দাবি জানান আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা, আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা, ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা এবং কংগ্রেস সাংসদ রাজীব শুক্ল। মণিপুর নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) বিবৃতি দাবি করে সংসদের বাদল অধিবেশনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। দফায় দফায় বিক্ষোভের চাপে পড়ে মুলতুবি হয়ে গেছে রাজ্যসভা এবং লোকসভা।

তবে, নিয়ম অনুযায়ী ৫০ জন সাংসদের সমর্থন-সহ আজকের এই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তারপর অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট দিন এবং সময় বরাদ্দ করবেন তিনি। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মোদী সরকারকে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না, তা প্রায় পুরোটাই জানেন বিরোধী নেতারা। উলটে বিরোধীদেরই পরাজয় ঘটতে পারে। কারণ, সংসদে শুধুমাত্র বিজেপি নেতাদেরই যে সংখ্যা রয়েছে, তার সামনেই বিরোধী জোট দুর্বল। তার পরেও, পুরোপুরি রাজনইতিক কৌশলগত কারণে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে পার্লামেন্টে স্বয়ং উপস্থিত হতে বাধ্য হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রধান নেতা নরেন্দ্র মোদী। মণিপুর ইস্যু নিয়ে তীব্র অস্বস্তির মুখোমুখি হতে হবে কেন্দ্রের শাসকদলকে। স্বয়ং মোদীকে এই নিয়ে সংসদের ভিতরে মুখ খুলতে হবে, যা এর আগে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন-

Abhishek Banerjee: হাইকোর্টে শুনানি না হয়েও স্বস্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজে থেকেই সময় দিল ইডি
Recruitment Scam: CBI-এর চোখা প্রশ্নের মুখোমুখি মানিক ভট্টাচার্য, বুধবার দ্বিতীয় দফায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ

আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষদের রক্তপরীক্ষার প্রস্তাব

‘Sex Video’: মহিলার সঙ্গে এ কী করছেন বিজেপি নেতা! ৮ ঘণ্টার ‘ঘনিষ্ঠ’ ভিডিও নিয়ে তোলপাড় মহারাষ্ট্র