সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার কেন্দ্রের দাবি গত এক বছর ধরে যে বিক্ষোভ কৃষকরা চালিয়ে গিয়েছেন, সেখানে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া হয়েছে, কিন্তু পুলিশি অভিযানে কোনও কৃষকের মৃত্যুর কোনও খবর নেই।
পুলিশের অভিযানে (police action) কোনও কৃষকের বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত্যু হয়নি (No farmer died)। এমনই দাবি করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (Centre)। শুক্রবার কেন্দ্রের দাবি গত এক বছর ধরে যে বিক্ষোভ কৃষকরা চালিয়ে গিয়েছেন, সেখানে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া হয়েছে, কিন্তু পুলিশি অভিযানে কোনও কৃষকের মৃত্যুর কোনও খবর নেই। বিভিন্ন কৃষক গোষ্ঠী তিনটি নতুন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলে।
কেন্দ্রীয় সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) সহ তাদের মূল দাবিগুলি মেনে নেওয়ার পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, "কৃষক আন্দোলনে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন"। এদিন কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, কৃষকদের আন্দোলনের সময় পুলিশি অ্যাকশনের ফলে কোনও কৃষক মারা যায়নি। তোমর কংগ্রেস নেতা ধীরাজ প্রসাদ সাহু এবং এএপি নেতা সঞ্জয় সিংয়ের যৌথ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় এই তথ্য জানান।
সাংসদদের প্রশ্ন ছিল সরকার কৃষকদের বিক্ষোভের সময় মারা যাওয়া কৃষকদের পরিবারকে জীবিকা নির্বাহের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছে কি না। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি বছরব্যাপী বিক্ষোভে কৃষকদের মৃত্যুর বিষয়টি উত্থাপন করে সংসদে। উল্লেখ্য, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ (Year long farmers protest) করার পর, সরকার তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ায় কৃষকরা বিক্ষোভ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন (Farmers Protest Ends)। কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৫ই জানুয়ারী একটি পর্যালোচনা সভা (review meeting) করা হবে। যদি সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে, তাহলে ফের আন্দোলন শুরু করতে পারেন তাঁরা বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার বৈঠকের পরে কৃষক নেতা গুরনাম সিং চারুনি এমনই তথ্য দেন সাংবাদিকদের।
কৃষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ১১ ডিসেম্বর শনিবার তাঁরা তাঁদের বিক্ষোভ শেষ করবেন এবং বাড়ির পথ ধরবেন। কৃষক ইউনিয়নগুলি বিকাল সাড়ে পাঁচটায় একটি ফতেহ আরদাস (বিজয় প্রার্থনা) এবং ১১ ডিসেম্বর সকাল নটায় দিল্লির সীমান্তে সিংগু এবং টিকরি বিক্ষোভের জায়গায় একটি ফতেহ মার্চ (বিজয় মিছিল) পরিকল্পনা করেছে।