সংক্ষিপ্ত


পুজোর ঠিক মুখেই ভাসান নিয়ে নয়া নির্দেশ দিল মোদী সরকার। গঙ্গা বা অন্য কোনও নদীতে কোনওভাবেই প্রতীমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না। শুধু দুর্গা প্রতীমাই নয়, কালীপুজো, ছট পুজো, সরস্বতী পুজোতেও একই নিয়ম থাকবে। নির্দেশ না মানলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

পুজোর ঠিক মুখে রাজ্যকে বেশ বিপাকে ফেলল মোদী সরকার। পুজোর আগেই কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে গঙ্গা বা অন্য কোনও নদীতে কোনওভাবেই প্রতীমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না। শুধু দুর্গা প্রতীমাই নয়, কালীপুজো, ছট পুজো, সরস্বতী পুজোর পর প্রতিমা নদীতে বিসর্জন দেওয়া যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ক্লাব বা ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, গঙ্গার ধারে অবস্থিত মোট ১১টি রাজ্যকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। গত মাসেই বিসর্জনের ফলে গঙ্গা দূষণ নিয়ে একটি বৈঠক করেছে 'ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা'। সেই বৈঠকে সদস্যরা জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিবঙ্গ, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও রাজস্থানে পুজোর পর প্রতিমা বিসর্জনের ফলে ব্যাপক দূষণ হয়।

প্রতিমার রাসায়নিক রং, ফুল, মালা থেকে জলদূষণ হয়। তাই পরিবেশ বান্ধব অন্য কোনও উপায়ে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই রাজ্যগুলির মুখ্য সচিবকে বিকল্প পরিবেশ বান্ধব উপায় জানিয়ে চিঠি দিতে হবে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা-কে। বিসর্জনের পর সাত দিনের মধ্যে দুষণের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।

ফলে পুজোর ঠিক শুরুতেই যখন পুজো কমিটিগুলির ব্যস্ততা তুঙ্গে তারমধ্যেই নতুন চিন্তুা ঢুকল পুজো কর্তাদের মাথায়। তবে তার থেকেও বড় রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে এই নির্দেশিকার। এর আগে মহরমের দিন একই দিনে ভাসান দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে এখনও বিজেপি প্রচার করে মমতা ভাসান বন্ধঝ করেছিলেন বলে। এইবার এই নয়া নির্দেশ মমতার হাতে সেই অভিযোগ খণ্ডনের নয়া অস্ত্র তুলে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয় মমতা মেনে নেবেন, না কি এই নিয়ে ফের বিরোধিতায় নামবেন, এটাই এখন দেখার।