সংক্ষিপ্ত
- তিন দশকের পুরনো চিত্রটা পাল্টালো না উপত্যকায়
- এইবারও জম্মু কাশ্মীরে মহরমের তাজিয়া মিছিল করতে দেওয়া হল না
- মঙ্গলবার ফের উপত্যকা মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়
- তবে শিয়া নেতাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে
প্রায় তিন দশকের পুরনো চিত্রটা পাল্টালো না উপত্যকায়। বাতিল হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। তারপরও উপত্যকায় দেখা গেল না মহরমের তাজিয়া মিছিল। বরং মঙ্গলবার সকাল থেকে পের উপত্যকা মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল উপত্যকায় মহরমের তাজিয়া মিছিল করতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে প্রত্যেককে স্থানীয় ইমামবারা বা মাজারেই মহরমের যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দেওযা হয়েছে। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই ফের কার্ফু জারির করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। শ্রীনগরের দিকের সব রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। শিয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে একসঙ্গে বেশি মানুষের জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রশাসনের এক বড় কর্তা জানিয়েছেন মহরমের তাজিয়া মিছিল থেকে উপত্যকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদিরা এই মিছিলকে কাজে লাগিয়ে জনতা-নিরাপত্তা বাহিনী সংঘর্ষ বাধিয়ে দিতে পারে।
মহরম মাসে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ১০ দিন ধরে শোক পালন করে থাকেন। এই বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেই শোক পালন করা শুরু হয়েছে। এই সব আচারাদি তাদের স্থানীয় ইমামবারা-তেই করতে হবে। অন্য এলাকার ইমামবারায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
১৯৯০ সালে জম্মু কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। সেই সময় থেকেই উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কায় উপত্যকায় তাজিয়া মিছিল বের করতে দেওয়া হয় না। এই বার প্রশাসনে বদল আসার পর অবস্থাটা পাল্টাতে পারে বলে অনেকেই আশা করেছিলেন। কিন্তু আগের পথেই থাকল কাশ্মীর। একটাই বদল দেখা গিয়েছে। মহরমের দিন উপলক্ষ্যে বন্দি থাকা শিয়া নেতাদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।