সংক্ষিপ্ত
অরুণচলপ্রদেশের দাঁড়িয়ে নাম না করে চিনকে সতর্ক করলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিশানায় পূর্বতন কংগ্রেস সরকারও।
আগে যে কোউ ভারতের জমি দখল করতে নিতে পারত। কিন্তু এটা এমনই একটা সময় যে কেউ ভারতের সীমান্তের দিকে তাকানোর পর্যন্ত সাহস দেখাতে পারে না। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অরুণাচল প্রদেশে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেছেন। এই দিনই ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে অরুণাচলের সীমান্ত গ্রাম কিবিথুতে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রামের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি এই অনুষ্ঠানেই বলেন, সেনাবাহিনী ও আইটিবিপি কর্মীদের বীরত্বের কারণে ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করতে পারবে না।
অমিত শাহ বলেন, সীমান্ত এলাকাগুলিকে মোদী সরকার প্রথম থেকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। উত্তর-পূর্বে অবকাঠামো উন্নয়েনের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নেও জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি আরও বলেন মোদী সরকারের আমলেই সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়নের হার অনেকটাই বেড়েছে।
পূর্বতম কংগ্রেস আমল বা ইউপিএ সরকারকে নিশানা করে এদিন অমিত শাহ বলেন, 'সেই যু চলে গেছে যখন যে কেউ আমাদের জমি দখল করে নিতে পারত। এখন কেউ এক ইঞ্চিও জমি দখল করতে পারবে না। ' ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধে নিহত কিবিথুর শহীদদের প্রতিও এদিন শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সামগ্রী না থাকা সত্ত্বেও সেই সময় তারা অদম্য মনোভাব নিয়েই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
অমিত শাহ এদিন অরুণাচলপ্রদেশের মানুষদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি তাঁর ভাষণ শুরুই করেন 'নমস্তে অরুণাচল' বলে। তিনি বলেন, অরুণাচলের মানুষ এই দেশের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। তাঁদের দেশপ্রেম সকলের কাছেই দৃষ্টান্ত। তাঁর ভাষণে একাধিকবার জয় হিন্দও বলেন। আগে সীমান্ত এলাকা থেকে ফিরে আসা লোকেরা বলত ভারতের শেষ গ্রামটি তারা দেখেছে। কিন্তু মোদী সরকার সেই ধারনা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। কারণ এখন সকলেই বলেন, তারা ভারতের প্রথম গ্রামটি পরির্দশন করেছে।
অমিত শাহ পূর্বতম সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আগের সরকারের নীতির জন্য আগে সকলেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আশান্ত রাজ্য হিসেবেই চিহ্নিত করত। কিন্তু এখন নীতির কারণে এই এলাকার রাজ্যগুলির পরিবর্তন হয়েছে। সমৃদ্ধির আর উন্নয়নের জন্য এই রাজ্যগুলি পরিচিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
রাহুল গান্ধীর '২০ হাজার কোটি টাকা কোথা থেকে এল?', প্রশ্নের জবাবে লম্বা বিবৃতি আদানিদের
রাহুলের উচিৎ ছিল ইন্দিরা গান্ধীকে অনুসরণ করা, কংগ্রেস লুপ্তপ্রায় দল বলেও জানিয়ে দিলেন গুলান নবি আজাদ