সংক্ষিপ্ত

ভারতবর্ষের কোনো নাগরিক খালি পেতে যাতে ঘুমোতে না যায় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের. জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে দেশের প্রান্তিক মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেবার নির্দেশিকা জারি করলো শীর্ষ আদালত।

ভারতে জনবিস্ফোরণের কারণে দেখা যাচ্ছে খাদ্যের অভাব।ভারতবর্ষের জনসংখ্যা ক্রমে যাচ্ছে বেড়ে আর তার সঙ্গে খাদ্যের উৎস যাচ্ছে কমে। এই পরিস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ সারা ফেলে দিলো গোটা দেশে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তাদের একটি রায়ে বলেছে যে ভারতবর্ষের কোনো নাগরিক খালি পেতে যাতে ঘুমোতে না যায় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে দেশের প্রান্তিক মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেবার নির্দেশিকা জারি করলো শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি এম আর শাহ এবং হিমা কোহলির একটি বেঞ্চ কেন্দ্রকে ইশরাম পোর্টালে নিবন্ধিত অভিবাসী এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের সংখ্যা সহ একটি নতুন চার্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে বেঞ্চ একটি বিবৃতি দিয়ে জানায় যে এনএফএসএর অধীনে খাদ্যশস্য দেশের পশেষ মানুষটির কাছে পৌঁছে দেওয়া কেন্দ্রের দায়িত্ব। যদিও আদালত বলছে না যে কেন্দ্র এবিষয়ে উপর কাজ করছে না। ভারতের ইউনিয়ন কোভিডের সময় খাদ্যশস্য দিয়ে মানুষকে যে পরিষেবা দিয়েছে তা যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু বাকি না খেতে পাওয়া দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষের কোথাও ভাবতে হবে সরকারকে।

অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ, তিনজন সামাজিক কর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ, হর্ষ মান্দর এবং জগদীপ ছোকার একটি রিপোর্ট পেশ করেন আদালতকে যেখানে বলা হয় যে ২০১১ এর আদমশুমারির পর থেকে দেশের জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এনএফএসএ এর আওতায় থাকা মানুষের সংখ্যাও। তাই কেন্দ্রের উচিত আইন করে যারা সুবিধে পাচ্ছেন না তাদের কাছে খাদ্যসুবিধে পৌঁছে দেওয়া।

অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি অবশ্য কেন্দ্রের হয়ে বলেন যে গত আট বছরে, এনএসএফএ কার্যকর হওয়ার পর থেকে, ভারতে জনসংখ্যা মাথা আয় ৩৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ফলে একটি বৃহৎ সংখ্যক পরিবারকে উচ্চ আয়ের শ্রেণীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভারতের মানুষ এখন আর ২০১৩-১৪ সালের মতো দুর্বল নেই। কিন্তু কেন্দ্রের এমন দাবি বাস্তবে পরিলক্ষিত না হাওয়ায় এবার শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে দেশের প্রতিটা মানুষের মুখে অন্য জোগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে