সংক্ষিপ্ত

অমিত শাহ সমাজের সকল শ্রেণীর সর্বাত্মক কল্যাণের জন্য ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন যে রাহুল গান্ধীকে লোকসভা সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য দেশ বিরোধী দলগুলিকে ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (সরকার)-এর আনা একটি আইনের ভিত্তিতে গান্ধীকে সংসদ সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

অমিত শাহ সমাজের সকল শ্রেণীর সর্বাত্মক কল্যাণের জন্য ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কৌশাম্বী উৎসবের উদ্বোধনের পর এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধীর অযোগ্যতার কারণে সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য বিরোধী দলগুলোকে দেশ ক্ষমা করবে না। গণতন্ত্র নয়, জাতপাত ও বংশবাদের রাজনীতি বিপদের মুখে।"

অনুষ্ঠানে যোগ দেন যোগী আদিত্যনাথ

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজ্য ইউনিটের সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মানহানির মামলায় সুরাটের একটি আদালত দুই বছরের সাজা দেওয়ার পরে ২৪ মার্চ লোকসভার সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

জেনে রাখা ভালো যে 'কৌশাম্বী উৎসব-২০২৩'-এর উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পরে, তিনি আজমগড়ে ৪৫৬৭ কোটি টাকার বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

গান্ধী পরিবারের কোনো সদস্যের নাম না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘গণতন্ত্র বিপদে নেই, কিন্তু আপনার পরিবার বিপদে আছে। শাহ আরও বলেন, 'গতকালই সংসদ শেষ হয়েছে। দেশের বাজেট অধিবেশন আলোচনা ছাড়াই সংসদ শেষ হয়েছে, স্বাধীনতার ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। বিরোধী দলের নেতারা হাউসে কাজ করতে দেননি। যে কারণে রাহুল গান্ধীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর উচিত এই সাজাকে চ্যালেঞ্জ করা। আপনি সংসদের সময় উৎসর্গ করেছেন।

রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্যপদ বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গুজরাটের সুরাতের একটি আদালত রাহুল গান্ধীকে এই শাস্তি দিয়েছে। শাস্তি যেই হোক না কেন সাংসদ পদ চলে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ জন বিধায়ক ও সাংসদের সদস্যপদ চলে গেছে। রাহুল গান্ধীরও পদ গিয়েছে, এখন কালো পোশাক পরা কংগ্রেসের লোকেরা সংসদ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি রাহুল গান্ধীকে বলতে চাই যে আইন মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের ধর্ম।