সংক্ষিপ্ত
শুধু অভয়া নয়, এই ৭ খুনের রহস্য আজও সমাধান করতে পারেনি CBI, তালিকায় আছে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঘটনাও
শুধু অভয়াকাণ্ডই নয়, আরও ৭ রহস্যজনক খুনেরও কিনারা খুঁজে উঠতে পারেনি সিবিআই। এমন আরও বেশ কিছু কেস রয়েছে যা আজও সঠিক ভাবে সমাধান করতে পারেনি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেসটিগেশন। আসুন একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সেই সব মামলায়-
সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-র খুনের মামলা- ২০১১ সালে ১১ জুন পওয়াইয়ে একটি শপিং মলের কাছে `মিড ডে`র ক্রাইম রিপোর্টার জ্যোতির্ময় দে-কে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মোট ৯টি গুলি চালানো হয়। প্রথমে দাউদসঙ্গী ছোটা শাকিলের গ্যাংকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্দেহ করা হয়। পরে সন্দেহের তালিকায় ঠাঁই পায় ছোটা রাজন গ্যাং`ও। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ছোটা রাজনের। এ মামলায় ছোটা রাজনসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সিবিআই আদালত কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই কেস ঘটিত বহু রহস্যের কোনও সমাধান মেলেনি।
অনুরাধা বালি হত্যা মামলা- ফিজা ওরফে অনুরাধা বালিকে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি হরিয়ানার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহনের স্ত্রী ছিলেন। সিবিআইয়ের তদন্তে মৃত্যুর কারণ চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা যায়নি, ফলে খুনের কারণ ও আসল খুনি নিয়ে আজও দ্বন্দ্ব রয়েছে।
আরুষি তলোয়ার হত্যা মামলা- নয়ডার তলোয়ার বাড়ি থেকে আরুষি তলোয়ার নামে ১৪ বছরের এক কিশোরী এবং তলোয়ার পরিবারের গৃহকর্মী হেমরাজকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সিবিআই প্রাথমিকভাবে আরুষির বাবা-মা রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারকে সন্দেহ করে, যারা নিম্ন আদালত দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়, কিন্তু পরে অকাট্য প্রমাণের অভাবে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাদের মুক্তি দিয়ে দেয। ফলে প্রকৃত অপরাধীরা আজও অধরা রয়ে গিয়েছে।
জিয়া খান কাণ্ড- নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেত্রী জিয়া খানকে। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও জিয়ার মা অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির দিকে সন্দেহের আঙুল তুলে এটিকে খুন বলে দাবি করেছিলেন।
কিন্তু তদন্তে ব্যর্থতার জন্য মুম্বই পুলিশ সমালোচনার মুখে পড়ার পরে মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সিবিআই হত্যার দাবির সমর্থনে পর্যাপ্ত প্রমাণ খুঁজে পায়নি এবং আজও মামলাটি নিয়ে প্রবল বিতর্ক রয়েছে।
সুনন্দা পুষ্করের রহস্যজনক মৃত্যু- কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের রহস্যজনক মৃত্যু হল দিল্লির একটি হোটেল থেকে। মামলাটিতে বিষক্রিয়াসহ বিভিন্ন তত্ত্বের সাথে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জড়িত ছিল, তবে কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি খুন, আত্মহত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।
শিনা বোরা হত্যা মামলা- ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শিনা বোরাকে খুন করে তাঁর মা সৎ বাবা পিটার মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা। দোষীরা শাস্তি পাওয়ার পরেও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের সম্পূর্ণ সত্য এখনও অস্পষ্ট এবং মামলাটি বিতর্কিত রয়ে গিয়েছে।
সুশান্ত সিং রাজপুত- ২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। মুম্বই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও ব্যাপক জল্পনা এবং মিডিয়ার মনোযোগের ফলে মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে, এবং সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলাটিকে আত্মহত্যা বা হত্যাকাণ্ড হিসাবে ঘোষণা করেনি।