সংক্ষিপ্ত
- নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছে অসমে
- বুধবার দফায় দফায় গুয়াহাটিতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের
- বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেই টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী
- কোনওভাবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অসমিয়া জাতিসত্তাকে প্রভাবিত করবে না
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছে অসমে। বুধবার দফায় দফায় গুয়াহাটিতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের। বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেই টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়ে দিলেন,কোনওভাবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অসমিয়া জাতিসত্তাকে প্রভাবিত করবে না।
বিলের আগুন ছড়িয়েছে অসমে। উত্তরপূর্বের রাজনীতিতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বুধবার। যেখানে বিলের বিরোধিতার জেরে আক্রান্ত হয়েছে খোদ মুখ্য়মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের বাসভবন। ডিব্রুগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পাথর ছোঁড়ে ক্যাব বিরোধীরা। বিক্ষোভকারীদের ভয়ে থানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন গহপুরের বিজেপি বিধায়ক উৎপল বরা। এর আগে হামলা হয় গুয়াহাটির বিজেপি সাংসদ কুইন ওঝার বাড়িতে।ডিব্রুগড়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি।
রণক্ষেত্রে দিনের শুরুতেই দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল থেকে শুরু করে আক্রান্ত বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাতিল করা হয়ছে ২১টি ট্রেন। গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে বাতিল একাধিক বিমান পরিষেবা। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন-সহ একাধিক ছাত্র সংগহনের যৌথ মঞ্চ নর্থইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন ডাকা বন্ধে সোমবার ও মঙ্গলবার অসমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। যার জেরে লাগাতার পুলিশের সঙ্গে বুধবার সংঘর্ষ বাঁধে বিল বিরোধীদের।
এদিন সেই অসমের সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিজেই ময়দানে নামলেন প্রধানমন্ত্রী। ইংরেজি ছাড়াও অসমিয়ায় টুইট করেছেন তিনি। টুইটে মোদী বলেছেন,আমি অসমের ভাই বোনেদের সিএবি বিল নিয়ে আশ্বস্ত করছি। এই বিল পাশ হওয়ার ফলে অসমের অনন্য চরিত্র বজায় থাকবে। কেউ আপনাদের সুন্দর সংস্কৃতি ও অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। আগামী দিনে অসমিয়া সংস্কৃতি আরও বিকাশ ঘটবে। সংবিধানের ধারা ৬ মেনে অসমবাসীর রাজনৈতিক, চারিত্রিক ও ভাষাগত বৈচিত্র রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর সরকার।
বুধবার রাজ্যসভায় বিতর্কিত বিলটি পাশ হওয়ার পর আরও অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির। ঘটনার পরই রাজধানী দিসপুর, গুয়াহাটি-সহ বঙাইগাঁও, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট, মাজুলির মতো জেলাগুলিতে পথ অবরোধ শুরু হয়। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করে সেনা। বেগতিক দেখে একাধিক অঞ্চলে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করে প্রশাসন।