সংক্ষিপ্ত
- লাফিয়ে লাফিয়ে দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
- ৩০০ গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল আক্রান্তের সংখ্যা
- দেশে জুড়ে জনতা কারফিউ বনধের চেহারা নিয়েছে
- এর মধ্যেই রোম থেকে ফিরল ২৬৩ জন পড়ুয়া
শনিবারই এদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল। করোনা মোকাবিলায় রবিবার সকাল সাতটা থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় জনতা কারফিউ। তার মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, বর্তমানে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৪। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ জন বিদেশি নাগরকি।
এদিকে এদেশে করোনায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ৬৩ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই রয়েছে কেরল। এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০। দিল্লিতে শনিবার পর্যন্ত বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে ২৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। আর উত্তরপ্রদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৪।
এদিকে রবিবার থেকে এদেশে আন্তর্জাতিক বিমানের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে রবিবার সকালে রোম থেকে ২৬৩ জন পড়ুয়াকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁদের দিল্লিতে আইটিবিপি চাওলা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদীর আহ্বানে সাড়া , জনতা ফারফিউতে কার্যত স্তব্ধ তিলোত্তমা
এদেশে আর নামতে পারবে না বিদেশের বিমান, ১২০ জন ভারতীয়কে নিয়ে ফিরতে হল ডাচ বিমানকে
করোনার জেরে লকডাউনের পথে পাকিস্তানও, বন্ধ হল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল
পরিস্থিতি সামল দিতে রাজস্থান সরকার শিনবারই রাজ্যে লকআউট ঘোষণা করে। গুজরাত সরকার রাজধানী আহমেদাবাদ সহ ৪টি শহর লকআউট করে দিয়েছে। রবিবার থেকে নিজের সীমানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটক সরকার।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রবিবার জনতা কারফিউয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকাল সাতটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা ধরে চলবে এই কারফিউ। দেশের সব প্রান্তেই এদিন জনতা কারফিউতে সামিল হয়েছিলেন মানুষ। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। বন্ধ ছিল আন্তঃরাজ্য বাস চলাচলও। ট্রেনের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিন গোটা ভারতেই বনধের চেহারা দেখা গেছে।