সংক্ষিপ্ত
- বুধবারই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসে সাভারকরের মূর্তি স্থাপন করেছিল এবিভিপি
- তবে অনুমতি ছিল না বিশ্ববিদ্যালয়ের
- প্রথম থেকেই এই স্থাপনার বিরোধিতা করেছিল এনএসইউআই
- রাত্রিবেলা সেই মূর্তির গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দিল তারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়াই বুধবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসের আর্টস ফ্য়াকাল্টির দরজার বাইরে সাভারকরের মূর্তি স্থাপনা করেছিল ইখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। আর একদিনের মধ্যেই রাত্রিবেলা সেই মূর্তির গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দিল ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া। মুখে লেপে দেওয়া হয় কালি।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এখন এবিভিপির হাতেই রয়েছে বুধবার সকালে ছাত্র সংসদের সভাপতি শক্তি সিং ওই মূর্তির উদ্বোধন করেছিলেন। তবে শুধু সাভারকর নন, একটি ভিতের উপর একসঙ্গে তিনজন মনীষীর মূর্তি রয়েছে। সাভারকর ছাড়া বাকি দুইজন হলেন ভগত সিং ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। এদিন সকালে দেখা যায় বাকি দুটি মূর্তি অক্ষত রয়েছে। শুধুমাত্র সাভারকরের মূর্তিতেই জুতোর মালা ও কালি রয়েছে।
বুধবার ওই তিন মূর্তি সম্বলিত ভিতটি উদ্বোধনের পরই ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া বা এনএসইউআই-এর পক্ষ থেকে এই বিনা অনুমতির স্থাপনার বিরোধিতা করা হয়। তাঁদের মূল আপত্তি ছিল নেতাজী ও ভগত সিং-এর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে এক আসনে সাভারকরকে বসানো নিয়ে। তাদের মতে সাভারকর যেভাবে ব্রিটিশ সরকারের ক্ষমা ভিক্ষা করেছিলেন, তাতে সুভাষ বসু ও ভগত সিং-এর সঙ্গে এক আসনে বসার অধিকারই তাঁর নেই। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা সাভারকরের ক্ষমা চাওয়ার তালিকাও বিশদে দিয়েছিল তারা।