সংক্ষিপ্ত
- সাইবার হামলার কবলে পড়ল কুদানকুলাম পারমাণবিক কেন্দ্র
- আগেই এই সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়
- তখন অস্বীকার করলেও তদন্তে ম্যালওয়্যারের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে
- ক্ষতিগ্রস্থ সিস্টেমটি মূল সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না বলে দাবি সংস্থার
সাইবার হামলার শিকার কুদানকুলাম পারমাণবিক কেন্দ্র। এর আগেই এই সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখন অবশ্য পরমাণু শক্তি বিভাগ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছিল। বুধবার প্রকল্পের সিস্টেমে ম্যালওয়ার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করল নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআইএল।
বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে এনপিসিআইএল বলেছে, এনপিসিআইএল সিস্টেমে ম্যালওয়ার পাওয়া গিয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ সিস্টেমটি মূল সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। বিষয়টি প্রথম জানিয়েছিল সিইআরটি। গত ৪ সেপ্টেম্বর বিষয়টি ধরা পড়ে তাদের চোখে। তারপরই পরমাণু শক্তি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন। তাতেই ম্যালওয়্যারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গিয়েছে।
পরমাণু শক্তি বিভাগটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় রয়েছে। তাদেরই একটি সংস্থা হল এনপিসিআইএল। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ এক সংস্থার সিস্টেমে ম্যালওয়্যার ঢোকাটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। জানা গিয়েছে ম্যালওয়্য়ার আক্রান্ত কম্পিউটারটি সংস্থার এক কর্মী প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিলেন। আর তারপরই তাতে ম্যালওয়্যার ঢুকে যায়।
তবে এতে বিশেষ ক্ষতি কিছু হয়নি বলেই দাবি করছে এনপিসিআইএল। তাদের বক্তব্য ওই কম্পিউটারটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে ম্যালওয়্যারটি ওই একটি মাত্র যন্ত্রেই থেকে গিয়েছে, ছড়াতে পারেনি। তবে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে এখনও সংস্থার নেটওয়ার্ক অবিচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিন ম্য়ালওয়্যারের বিষযটি মেনে নিলেও মঙ্গলবার কিন্তু কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য আধিকারিক দাবি করেছিলেন তাঁদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কোনও সাইবার হামলা হওয়া সম্ভব নয়। তার আগেই অবশ্য টুইটারে কুদানকুলাম-এর সিস্টেমে সাইবার হামলার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল।